শাকির আহমদ, কুলাউড়া :: জিরো পয়েন্ট। শব্দ দুটি শোনলে এক অন্যরকম অনুভূতি মনকে স্পন্দিত করে তোলে। শব্দগুলো যেমন বিভক্ত দুটি দেশের শেষ এবং শুরুর সীমানা চিহ্ন বয়ে বেড়ায় তেমনি কোন একটা নির্দিষ্ট স্থানের প্রাণকেন্দ্রও বুঝায়। আবার কখনো কখনো সিনেমা বা প্রমান্যচিত্রের কোন এক আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু হয়ে যায় ওই একই শব্দগুচ্ছ।

যেভাবেই আপনি ‘জিরো পয়েন্ট’-কে সংঘায়িত করেন না কেন এর প্রতিচ্ছবি যে অর্থবহ হবে তাতে সন্দেহ নাই। সম্প্রতি ‘জিরো পয়েন্ট’ নামকরণে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হলো মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। বইটির ভিতরে কি লেখা আছে সেটা দেখার আগে জানার আগ্রহ ছিলো জিরো পয়েন্ট নামকরণ কেন হলো বইটির? প্রশ্নটা লেখককে (আহবাব চৌধুরী খোকন) সরাসরি করতে পারতাম যদি উনি দেশে থাকতেন। সুদূর আমেরিকায় বসে তিনি বইটি লিখেছেন এবং উনি আমেরিকায় থাকাবস্থাতেই উনার ভাগ্নে আরেক আমেরিকা প্রবাসী মৌলভীবাজারস্থ দ্যা লাইট গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলে আবিদ খান রাবি’র সার্বিক তত্বাবধানে কুলাউড়ায় বইটির মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করা হয়।


এখানে বলে রাখা ভালো, কুলাউড়ায় বইটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন না করলে আমরা বইটি সম্পর্কে জানতে পারতাম না। অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কেও জানার সুযোগ হতো না। এজন্য দ্যা লাইট গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলে আবিদ খান রাবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যেহেতু লেখককে নামকরণের কাহিনী সরাসরি জিজ্ঞাসা করার সুযোগ হয় নি তাই নিজে থেকেই জানার চেষ্টায় বইটি পড়া শুরু করলাম।

জিরো পয়েন্ট বইটিতে পৃথিবীর তিনটি মহাদেশের ৯টি দেশ ভ্রমণ ও দেশগুলোর কিছু পবিত্র স্থান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আকর্ষনীয় ন্থাপনা, সেখানকার সংস্কৃতি সম্পর্কে সুলেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপনা করেছেন লেখক। বইটি চাইলে একটানা পড়ে শেষ করা যেতো। কিন্তু আমি সেটা করিনি। কারণ, বইয়ের মধ্যে ৩০টি ভ্রমণকাহিনী ও স্থান সম্পর্কে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যেন পাঠক চাইলে প্রতিটি অংশ পড়ে চোখ বুঝে লেখকের ছায়াসঙ্গী হয়ে সেই সকল স্থানে ঘুরে আসতে পারবেন। আমি তাই করলাম। প্রতিটি অংশ পড়ার সময় আমি নিজেকে লেখকের ছায়াসঙ্গী হিসেবে আবিষ্কার করলাম। এজন্য পুরো বইটা শেষ করতে আমার অনেক দিন লেগেছে।

পুরো বইটা পড়ে শেষ মুহূর্তে আমার মাথায় ঘোরপাক খাওয়া সেই প্রশ্নের উত্তর পেলাম। অর্থাৎ বইটির ‘জিরো পয়েন্ট’ নামকরণের কাহিনী জানতে পারলাম। যে প্রেক্ষাপটে বইটির নামকরণ হয়েছে সেই অংশের প্রধান চরিত্রটি এখন আমাদের মাঝে নেই। তিনি সিলেট-৩ আসনের এমপি প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। গত ১১ মার্চ তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

শুরুতেই জিরো পয়েন্টের নামকরণের বিষয়টি আমি তুলে ধরতে চাই। লেখক যে একজন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক ও জন্মমাটির প্রতি যে উনার অকৃত্রিম ভালোবাসা তা বইয়ের নামকরনে প্রকাশ পেয়েছে। আমি অবাক হয়েছি এজন্য যে পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরে. অনেক দর্শণীয় স্থান ঘুরে লেখক চাইলে অন্য যেকোন ভাবে নামকরণ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে নিজের জন্মমাটির একটি স্থানের নামে বইয়ের নাম দিয়েছেন ‘জিরো পয়েন্ট’। ভাবতে অবাক লাগলেও সত্যি লেককের জন্মস্থান সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত নৈসর্গিক পর্যটন স্থানের নাম ঘিলাছড়ার ‘জিরো পয়েন্ট’। প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর উদ্যোগে ও উনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঘিলাছড়া ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরের তীরে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠে পর্যটন স্থান ‘জিরো পয়েন্ট’। প্রয়াত এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর পরামর্শে মূলত লেখক সপরিবারে সেখানে ঘুরতে যান। কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর সন্ধ্যা অবদি থেকে হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও হাজারো মানুষের উপস্থিতি দেখে লেখক অনেকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে যান। তিনি তাঁর লেখায় কবি জীবনানন্দ দাস এর লেখা ‘বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে চাই না’ কবিতাংশটুকু উল্লেখ করে বুঝাতে চেয়েছেন পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরেও তিনি নিজের মাতৃভূমির মতো এতো আবেগ ও অনুভূতি আর কোথাও খুঁজে পান নি। তাইতো মাতৃভূমির এই হাওরাংশের জিরো পয়েন্ট এর নামেই নিজের বইয়ের নামকরণ করলেন তিনি। সুদূর প্রবাসে থেকে বিলাসী জীবন যাপনের সুযোগ পেয়েও মাতৃভূমির জন্য যে ভালোবাসা ও যে হাহাকার লেখকের লেখায় ফুঁটে উঠছে তা পৃথিবীর অন্য কোন দেশের সৌন্দর্য কিংবা স্থাপত্যশৈলীতে তৃষ্ণা মিটবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বইটির শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের মক্কা ও মদিনাতে ধর্ম পালন ও ঐতিহাসিক পটভূমি সংবলিত স্থান দর্শনের ঘটনাগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে। সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কায় উমরাহ হজ্ব পালন শেষে মদিনায় হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর রওজা মোবারকে যাওয়ার দৃশ্যগুলো তিনি বেশ যত্নের সাথে তুলে ধরেছেন। এছাড়াও হেরা গুহা, জান্নাতুল বাক্বি, মসজিদে নববী, মিনা প্রান্তর, মক্কা শরীফের ক্লক টাওয়ারসহ অসংখ্য স্থান ঘুরে ঘুরে দেখে সেগুলো বইটিতে তুলে ধরেছেন। এছাড়াও তিনি জেদ্দা, রিয়াদেও অবস্থান করে সেখানকার স্মৃতি রোমন্থন করতে ভুলেন নি। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই নগরীতে শপিং মল এবং দুবাইতে সবচাইতে বৃহত্তম গ্র্যান্ড মসিজিদ নিয়ে লিখেছেন বইতে। তিনি কাতার ঘুরেও স্মৃতিচারণ করেছেন বইটিতে। সেখানকার স্থাপত্য শৈলির অপূর্ব নিদর্শন মসজিদ, শপিং মল নিয়ে রিখেছেন বিস্তারিত। বইয়ের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্য ও মক্কা, মদিনা, মসজিদ নিয়ে লেখার ধরণে প্রমান করে যে লেখক একজন ধর্মভীড়– মুসলিম।

বইয়ের দ্বিতীয় অংশে ইউরোপ মহাদেশের ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও তুরষ্ক রাষ্ট্র ঘুরে বেড়িয়েছেন লেখক। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার, লন্ডন সিটি, কেমব্রিজ সিটি এবং সেখান কেমব্র্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশী অধ্যুসিত লুটন সিটি, টেমস নদী, ইস্ট লন্ডন জামে মসজিদ নিয়ে তিনি লিখেছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। এছাড়াও তিনি ইংল্যান্ডে বাংলাদেশীদের কষ্টে গড়া কারি ইন্ড্রাস্ট্রি শ্রমিক সংকটের কারণে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তুলে ধরেছেন বইটিতে।

ইউরোপের ফ্রান্স ও এর রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত আইফেল টাওয়ার এর নান্দনিক সৌন্দর্য ও এর বিশালতা তুলে ধরেছেন লেখক। এছাড়াও ইউরোপের তুরস্কেও রাজধানী ইস্তান্বুল নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন তিনি বইটিতে। সভ্যতার এক অপরূপ নিদর্শন ইস্তান্বুল শহরটি। সুলতানি আমলের চলন পোষাক পরিচ্ছদ এখনো ধরে রাখার চেষ্টা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। লেখক খুব পরিপাটি করে ইস্তান্বুল ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরেছেন এতে করে একজন পাঠক খুব সহজে জানতে পারবেন তুরস্কের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

এবার জানা যাক লেখক যে মহাদেশে বাস করেন সেই উত্তর আমেরিকা সম্পর্কে লেখক উনার বইতে কি লিখেছেন। জিরো পয়েন্ট বইটিতে আমেরিকা ও কানাডার নানা দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সুবিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ওয়াইট হাউজ, নিউইয়র্কেও লিবার্টি আইল্যান্ডে স্থাপিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি, ফ্লোরিডায় অবস্থিত দ্বীপ ‘কিউ ওয়েস্ট’, ডিজনী ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও কানাডার ওন্টারিও স্টেইটের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ব্যাফেলো সিটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নায়াগ্রা জলপ্রপাত উপভোগ করার বিষয়টিও খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন তিনি। আমরা প্রায় পর্যটককে দেখেছি কানাডায় অবস্থান কওে নায়াগ্রা জলপ্রপাত এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে কিন্তু আমার দেখা প্রথমবারের মতো কোন পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার বিষযটি তুলে ধরলেন বইটিতে। আরেকটি নতুন তথ্য জানতে পারলাম বইটির মাধ্যমে যে, নায়াগ্রা জলপ্রপাত ভালোভাবে উপভোগ করা যায় ‘মেড অব দ্যা মিস্ট’ বোট চড়ে প্রপাতের গভীরে গিয়ে।

বইয়ের একটি আকর্ষনীয় অংশ বলবো, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়া স্টেইটের একটি গ্রাম ‘অ্যামিস কাউন্টি’ নিয়ে লেখা তথ্যবহুল লেখাটি। পৃথিবীর সবচাইতে আধুনিক, সভ্য, উদার ও উচ্চবিলাসী রাষ্ট্র বলতে যে আমেরিকাকে আমরা জানি এই অংশটি পড়লে ধারণাটা আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসবে আমার ধারণা। অ্যামিস কাউন্টি গ্রামের মানুষেরা গাড়ি চড়ে না, ঘরে বিদ্যুৎ নেই, চাল চলন সেই মান্দাতার আমলের মতো। প্রযুক্তির ছোঁয়া তারা নিতে রাজি না। ১৭২৭ সালে সুইজারল্যান্ডের বংশোদ্ভূত ১৩ জন অ্যামিস যারা কিনা ইতোমধ্যে নিজ দেশে বিতারিত হয়েছিলো তারা জাহাজে করে এসে এই গ্রামে বসবাস শুরু করে। এরা এমন এক ধর্মবিশ্বাসী জাতি যারা প্রকৃতিকে আঁকড়ে ধরে এবং মানুষকে ভালোবেসে বাঁচতে চায়। আধুনিক জীবন তাদের যেমন পছন্দ নয় তেমন আধুনিক সভ্যতাকেও তারা বিশ্বাস করে না। ধর্মীয় গোড়ামিতে বিশ্বস্ত হয়েই তারা জীবন চলতে শিখেছে।

বইটিতে বহির্বিশ্বে ঘুরে বেড়ানোর শেষের দিকে কানাডার ওন্টারিও এলাকার নায়াগ্রা ফলস জলপ্রপাত উপভোগ করা পরবর্তীতে কানাডার টোরেন্টো সিটির ডাউন টাউনে অবস্থিত আইল্যান্ড এবং সুউচ্চ সি এন টাওয়ার নিয়ে লেখা হয়েছে। টাওয়ারের চূড়ায় উঁঠে টরেন্টো সিটির সৌন্দর্য উপভোগ করার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন লেখক।

বইয়ের শেষাংশে সবাচাইতে আকর্ষনীয় নিজের জন্মভূমি বাংলাদেশ নিয়ে লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী, কলাম লেখক ও বিশিষ্ট কমিউিনিটি নেতা আহবাব চৌধুরী খোকন। বইয়ের যে বিষয়টি আমাকে আকৃষ্ট করেছে তা হলো, পুরো ভ্রমণ কাহিনীতে লেককের সাথে ছিলো তার পরিবার। এছাড়াও আরেকটি বিষয় আমাকে আন্দোলিত করেছে যেমন প্রত্যেক মানুষ চলার পথে কারও না কারও সহযোগিতা অথবা সঙ্গ নেয়। কিন্তু প্রায় মানুষ সেটা গোপন করে রাখেন। লেখক এক্সেত্রে উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং আলাদা আলাদা স্থানে ঘুরে বেড়ানোর সময় যারা উনার সাথে ছিলেন প্রায় সকলের ছবিও প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন।

বইটির প্রত্যেকটি ভ্রমন কাহিনী তথ্যবহুল ও শিক্ষণীয়। একটি বিষয় আমার কাছে নেতিবাচক মনে হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের যে কয়েকটি স্থান ভ্রমণের কাহিনী তুলে ধরেছেন তন্মধ্যে বেশীরভাগ স্থান উল্লেখ করেছেন সিলেট অঞ্চলের। এর বাইরে শুধু কক্সবাজারে বেড়ানোর কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও কক্সবাজারে ভ্রমণের বিষয়টি তিনি খুব দক্ষতার সাথে উপস্থাপন করেছেন। এখানে বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের আরও অনেক দর্শনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক কিছু স্থাপনা, সভ্যতার নিদর্শণ রয়েছে যেগুলোতে লেখক ঘুরে বেড়ালে এবং সেগুলো বইয়ে উল্লেখ করলে আমাদের মতো পাঠকরা আরও বেশী উপকৃত হতে পারতাম। লেখক যদি দেশের আরও কিছু স্থান সম্পর্কে লিখতেন তবে পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে পাঠকরা এই বইটি পড়তো তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এবং এখানকার সভ্যতা, সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও বেশী করে জানতে পারতো। আপনার সুন্দর লেখনী ও সাবলীল উপস্থাপনায় পাঠকরা সহজে অনুধাবন করতে পারতো বইয়ে উল্লেখ করা স্থান সম্পর্কে।
আমরা ‘জিরো পয়েন্ট’ এর ধারাবাহিক প্রকাশনায় হয়তো পৃথিবীর আরও অনেক দেশের দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি দেশের আরও বিভিন্ন স্থানের তথ্যবহুল ভ্রমনকাহিনী পাবো সেই আশায় রইলাম। লেখকের প্রতি আরেকটি অনুরোধ থাকবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, সভ্যতার নিদর্শন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নিয়ে একটি বই বাংলা ও ইংরেজী ভার্সনে প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন। ইংরেজী ভার্সনে বই প্রকাশের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষও আমাদের দেশ সম্পর্কে জানতে পারবে।

লেখক : সিলেটভিউ২৪ডটকম এর নিজস্ব প্রতিবেদক (কুলাউড়া)।