কলকাতার কসবার ভুয়া টিকাকরণ ক্যাম্পের জেরে এবার রাজ্যে টিকাকরণ ক্যাম্প করতে মানতে হবে কড়া নিয়মাবলি। এবার থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের ক্যাম্প আর করা যাবে  না। সঙ্গে কার্যকর হলো বেশকিছু নিয়ম।

ভুয়া টিকাকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেফতার তিনজনকে শনিবার আদালত তোলা হয়। আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখান নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
কসবাকাণ্ডের পর দুটি কমিটি তৈরি করেছিল রাজ্য। একটি কমিটির কাজ, কোথা থেকে এই টিকা এলো, তা খুঁজে বের করা। ভুয়া টিকা কীভাবে আটকানো যায়, তা ঠিক করাই এই কমিটির কাজ। সেই অনুযায়ী শনিবার কোভিড টিকাদানের ক্যাম্প সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসিডিওর জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদেরও সতর্ক করা হয়েছে।


যেসব নিয়ম মানতে হবে

কোনো হাসপাতাল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অথবা কোনো বেসরকারি সংস্থা টিকা-ক্যাম্পের আয়োজন করতে চাইলে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অথবা কলকাতার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের এডিএইচএসের অনুমতি নিতে হবে। জমা দিতে হবে ফোন নম্বরসহ যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য। লিখিতভাবে জানাতে হবে কোন টিকা দেওয়া হচ্ছে, তার ব্যাচ নম্বর, এক্সপায়ারি ডেট সংক্রান্ত সব তথ্য। কোথা থেকে টিকা পাচ্ছে ওই হাসপাতাল বা বেসরকারি সংস্থা, তাও বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে। সব তথ্য সঠিক হলে, তবেই ভ্যাকসিন ক্যাম্প আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সংস্থার তরফে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। প্রতিদিন কত টিকা দেওয়া হলো, কত টিকা মজুত রয়েছে, টিকার কত ডোজ নষ্ট হলো, বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। কতজনকে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে, কজন একটি ডোজ নিয়েছেন তা সপ্তাহ শেষে লিখিত আকারে জমা দিতে হবে স্বাস্থ্য দফতরে। থানা থেকেও ছাড়পত্র নিতে হবে। শুধু তাই নয়, এবার থেকে কোউইনে নাম নথিভুক্ত ছাড়া টিকা মিলবে না।  

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/মিআচৌ-১