করোনাকালে এ নিয়ে চার বার আসলো খুশির ঈদ। আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। বুধবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশসহ অনেক দেশে মুসলিমদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে চলমনা মহামারির বৈরি পরিবেশে। সংগত কারণেই এবারও ঈদে আনন্দের স্বাভাবিক উচ্ছ্বাসটা কম।

লোভ, হিংসা ত্যাগ করে, নিজের ভেতরের পশুত্বকে কোরবানি করার ভেতর দিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করাই এই ঈদের মূল তাৎপর্য। হজরত ইব্রাহিম (আ.) যেমন করে মহান আল্লাহর নির্দেশে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেই ত্যাগকে স্মরণ করে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কোরবানি করবে।


ঈদের দিন মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের দোয়া কবুল করে থাকেন। মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করে নিজের, পরিবারের, দেশ-জাতির কল্যাণের পাশাপাশি, করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবেন।

এবারও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

করোনা মহামারির মধ্যে এবার নিয়ে চতুর্থ ঈদ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। তা ছাড়া এই সময়ে দেশে করোনা সংক্রমণও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে ঈদের চিরাচরিত উৎসব উদযাপন হবে না।

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আগে থেকেই ঈদুল আজহার দিনটি নির্ধারিত থাকে। ঈদুল আজহা আমাদের দেশে সাধারণত ‘কোরবানির ঈদ’ নামেই পরিচিত। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে মহান আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে এই ঈদ উদ্‌যাপিত হবে। তবে ঈদের পরের দুই দিন, অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও কোরবানি করার বিধান রয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম