পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় সিলেটজুড়ে লাখ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হচ্ছে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে সামর্থ্যবান মানুষেরা কোরবানি দিচ্ছেন। কোরবানির পশুর মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, উট প্রভৃতি। তবে সিংহভাগই গরু ও ছাগল।

আজ বুধবার সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর মানুষ পশু কোরবানি দেয়া শুরু করেন। মাংস কেটে শেষ করার পর তিন ভাগ করে শুরু হবে বাটোয়ারা। এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের জন্য এবং আরেক ভাগ গরীব-দুস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হবে।


সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার সিলেট বিভাগে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার, সুনামগঞ্জে প্রায় ৬৮ হাজার, মৌলভীবাজারে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় প্রায় ১ লাখ গরু-ছাগল এবার কোরবানি দেয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গেল বছরের চেয়ে এ বছর কোরবানি দেয়ার হার বেড়েছে।

এদিকে, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সিলেট মহানগরীতে সিটি করপোরেশনের (সিসিক) কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন। প্রায় ২ হাজার কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিসিকের জনসংযোগ শাখা।

বর্জ্য অপসারণে তিনস্তরের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

তিনি জানান, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডকে ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এসব জোনে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার রুমা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়। এছাড়া ৯ জন মনিটরিং কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে