বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হয়ে যায় চলতি বছরের গত ৩০ জুন। ফলে এরপর তিনি আর বার্সেলোনার খেলোয়াড় ছিলেন না। তখন বার্সেলোনা ছাড়তে পারেন লিওনেল মেসি এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল।

কিন্তু সকল গুঞ্জন ও জল্পনা উড়িয়ে সেই বার্সেলোনাতেই থেকে যান তিনি। তবে বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন নয় বরং সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী হয় তার।


মেসির সঙ্গে আরও ৫ বছরের চুক্তি করে বার্সেলোনা। নতুন চুক্তি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ছিল ধোঁয়াশা। তবে শেষপর্যন্ত সেই বার্সেলোনাতেই থেকে যান ঘরের ছেলে মেসি। নতুন চুক্তিতে মেসি ৫০ শতাংশ বেতন কমাতে রাজি হন। কারণ বার্সেলোনার আর্থিক দুরাবস্থা। মেসির সঙ্গে নতুন করে ৫ বছরের চুক্তির পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল মেসিভক্তরা ও বার্সা সমর্থকরা। কিন্তু সেই স্বস্তি ফের অস্বস্তিতে রূপ নিল নতুন এক খবরে।

স্পেনের দুই প্রখ্যাত সাংবাদিক সামুয়েল মার্সডেন ও মইজেস ইয়োরেন্সের বরাতে ইএসপিএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অর্থের বলিদান দিয়ে চুক্তি নবায়ন করলেও বার্সার জার্সিতে মেসি এই মৌসুম শুরুতেই নামতে পারছেন না মাঠে। বার্সার হয়ে বলে পা ছোঁয়াতে মেসিকে আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্সার বেতনের বিল এখনই লিগের অনুমোদিত বেতনের বিলের চেয়ে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে মেসিকে ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে নিবন্ধন করাতে গেলে বার্সাকে বেতনের বিল অনেক কমাতে হবে। সেই অঙ্কটা ২০ কোটি ইউরো। এতো পরিমাণ অর্থ যতদিন কমাতে না পারবে বার্সা, ততদিন মেসিকে বসিয়েই রাখতে হবে। কারণ তাকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে নিবন্ধন করাতেই পারবে না বার্সা।

বার্সার অ্যাকাডেমি লা মাসিয়া থেকে উঠে এসেছিলেন মেসি। ২০০৪ সালে বার্সার যুব দলে সুযোগ পান মেসি। তারপর সেখান থেকেই সিনিয়র টিমে জায়গা করে নেন মেসি। তারপর বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ একাধিক টুর্নামেন্টে সাফল্য পান তিনি। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারও একাধিক বার নির্বাচিত হন মেসি। দীর্ঘদিন ধরেই বার্সাতেই খেলে চলেছেন তিনি।

এদিকে, বার্সেলোনায় মেসির মতো একই পোড়া কপাল মেম্ফিস ডিপাই, সার্জিও আগুয়েরো, এমারসন রয়াল আর এরিক গার্সিয়ার। তারাও বার্সার হয়ে নামার অপেক্ষায়। কিন্তু বেতন কমানোর সেই নিয়মের প্যাঁচে পড়ে এই চার তারকাও ঝুলে আছেন। এদিকে সময়ও ফুরিয়ে আসছে। এদিকে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নতুন মৌসুমের জন্য দলবদল করতে পারবে ক্লাবগুলো।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-২১


সূত্র : বিডি-প্রতিদিন