একবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে কতদিন শরীরে অ্যান্টিবডি থাকে, ভ্যাকসিন নিলেই বা মানুষ কতদিন সংক্রমণ থেকে নিরাপদ, এসব কিছু নিয়েই হাজারও যুক্তি-তর্ক চলছেই। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চরিত্র বদল করে ক্রমেই আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে কোভিড-১৯ এর নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট।

এর মধ্যেই মুম্বাইয়ের এক ২৬ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসকের তিন বার কোভিড-১৯ হয়ে গেল ১৩ মাসের মধ্যে। শেষ দুবার হয়েছে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও।
জানা গেছে, ডা. শ্রুতি হালারি মহামারীর শুরু থেকেই মুম্বাইয়ের মালান্ড এলাকার একটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ডিউটিতে রয়েছেন। গত বছরের জুন মাসে তিনি প্রথম কোভিডে আক্রান্ত হন। সেবার খুব বেশি উপসর্গ ছিল না তার।


এরপরে চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি টিকার প্রথম ডোজ নেন, দ্বিতীয় ডোজ নেন এপ্রিলের ২৯ তারিখে। তার সঙ্গে তার পরিবারের সকলেও টিকা নিয়ে নেন। এর ঠিক এক মাস পরে, ২৯ মে ফের কিছু উপসর্গ দেখা দেয় শ্রুতির শরীরে। কোভিড টেস্ট করান তিনি, রিপোর্ট আসে পজিটিভ! এবারও সামান্য কিছু উপসর্গ নিয়ে ঘরেই সেরে ওঠেন শ্রুতি।

তবে এখানেই শেষ নয়, জুলাই মাসের ১১ তারিখে ফের কোভিড পজিটিভ হন শ্রুতি। আর এই তৃতীয় বার তার পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। এই বারে শ্রুতির উপসর্গ অনেক বেশি। তার পরিবারে মা, বাবা, দাদা রয়েছেন, তারাও বেশ অসুস্থ। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও সংক্রমণ এড়াতে পারেননি তারা। সকলেরই চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে, রেমডিসিভির ওষুধ প্রয়োগ করেছেন চিকিৎসকরা। ঠিক কোন প্রজাতির ভাইরাসে আক্রান্ত তারা, তা নিয়েও চলছে পরীক্ষানিরীক্ষা।

শ্রুতি বলেন, “এই তৃতীয়বার আমি সবচেয়ে বেশি ভুগছি। আমার পরিবার, আমি সকলে হাসপাতালে আছি, রেমডিসিভির চলছে। আমার মা ও দাদার ডায়াবেটিস আছে, বাবার হাইপ্রেশার ও কোলেস্টেরল আছে। দাদার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে অক্সিজেনও দিতে হয়েছে।”

এদিকে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিডের ভ্যাকসিন খানিকটা সুরক্ষা দিলেও তা করোনাভাইরাসের সমস্ত প্রজাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করছে না মানবশরীরে। অনেকেই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সংক্রমণের তীব্রতা একটু কম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, মৃত্যুর ঝুঁকিও কম। তাই বলে কোভিড হবে না, এমনটা নয়। সূত্র: দ্য ওয়াল

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/মিআচৌ-২