সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার-চৌহাট্টা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সিলেটে একমাত্র ‘ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল এটি। হাসপাতালের খানিকটা সামনে, ওই সড়কের মধ্যে একটি সেতুর মুখে বেশ কিছুদিন ধরেই বড় আকারের গর্তের তৈরি হয়েছিল। ফলে রোগাবাহী বা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে বেশ জোরেই ঝাঁকুনি খেতে হয়। এতে রোগীদের কষ্ট যেন আরো বাড়ে। এছাড়া এই সড়ক দিয়েই অনেকে যান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এই গর্তটি সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) দেখেও যেন না দেখার ভান করেছিল। কিন্তু ফারমিস আক্তার সিসিকের অপেক্ষায় বসে থাকেননি। সিলেটের উদ্যমী এই নারী কাল মধ্যরাতে নিজ উদ্যোগে সড়কের ওই গর্তগুলো সংস্কার করেছেন তিনি। এ কাজে তার স্বামীও সহযোগিতা করেন।


জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রিকাবীবাজার-চৌহাট্টা সড়কের মাদার কেয়ার ক্লিনিকের পাশে একটি সেতুর মুখে সড়কের গর্তগুলো সংস্কারে কাজ শুরু করেন ফারমিস আক্তার। নিজ উদ্যোগে বালু, পাথর ও সিমেন্ট সংগ্রহ করে এ কাজ করেন তিনি। কয়েকজনকে সাথে নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টায় কাজ শেষ করেন ফারমিস।

ইতোমধ্যে ফারমিস আক্তারের এই কাজের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

সিলেট নগরীর পুলিশ লাইন্স এলাকার বাসিন্দা ফারমিস আক্তার নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ পরিচিত। অসহায় মানুষের পাশে তিনি দাঁড়িয়ে যান যখন-তখন।

সড়কের গর্ত সংস্কারের বিষয়ে ফারমিস আক্তার বলেন, যাওয়া-আসার সময় সড়কের গর্ত দেখতে পাই আমি। সড়কটি দিয়ে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে যেতে হয়। একটু সামনে আছে ওসমানী হাসপাতালও। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সও যায়। কিন্তু গর্তে চাকা পড়ে যানবাহন বেশ জোরেই ঝাঁকুনি খায়। এতে রোগীদের বেশ কষ্ট তো হয়ই, সুস্থ মানুষও দুর্ভোগ পোহান।

সংস্কার কাজের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সিমেন্ট সংগ্রহ করতে বেগ পোহাতে হয় ফারমিস আক্তারকে। এজন্য তিনি ফেসবুকেও পোস্ট দেন।

তিনি বলেন, কেউ সড়কটি সংস্কার করছে না দেখে নিজ উদ্যোগে বালু,পাথর ও সিমেন্ট সংগ্রহ করে কাজ করেছি। লকডাউন থাকায় সিমেন্ট পাচ্ছিলাম না। পরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সংগ্রহ করেছি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে