উদ্বোধনের অপেক্ষায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের বহুল প্রত্যাশিত বুরুমপুর-বাংলাবাজার সেতু। স্বপ্নের সেতুটির কাজ সম্পন্ন হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা এই অঞ্চলের মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে এখানকার স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল একটি সেতুর।

বর্তমানে সেতুটির কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। যে কোন সময় এ ব্রীজটির শুভ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।


সেতুটি হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে আর পারপার করতে হবে না এই অঞ্চলের মানুষের।

সেতুটি উদ্বোধন হয়ে গেলেই মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আসবে। তাদেরকে আর কষ্ট করে নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হবে না। শুধু বুরুমপুর-বাংলাবাজার নয় সেতুটি উদ্বোধনের ফলে আমরিয়া, হাসামপুর, হলদারকান্দি, সরিষপুর, বীরকলস ও তাজপুরসহ প্রায় ১০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষের যাতায়ত ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও হবে সহজতর। শিক্ষা ও বাজার ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও আসবে আমূল পরিবর্তন। এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের একান্ত প্রচেষ্টায় বাস্তবায়ন হয়েছে। মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেতু নির্মাণ হওয়ায় মানুষের মুখে ফুটেছে হাসি।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্র জানা যায়, দরগাপাশা ইউনিয়নের টানাখালী খালের উপর নির্মিত বুরুমপুর বাংলাবাজার সংযোগ সেতুটি নির্মাণে প্রায় ৫ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। সেতু নির্মানের কাজ করছে মাহবুব আলম কন্টস্ট্রাকশন। দ্রুত ব্রীজটির উদ্বোধন হবে বলেও জানিয়ে এলজিইডি।

আব্দুল আলী নামের বুরুমপুর গ্রামের একজন বলেন, সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর জন্যই আমরা শতবছরের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছি। তিনি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্থবায়ন করেছেন। সেতুটি আমাদের জন্য উন্নয়নের আর্শীবাদ স্বরূপ।

দরগাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু খালেদ চৌধুরী রুবেল বলেন, বুরুমপুরের ব্রিজটি হওয়ার কারণে এলাকার জনগণ অত্যন্ত খুশি। সেতুটি উদ্বোধন হলে মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব হবে। শুধু এই সেতুই নয় রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্টসহ অনেক উন্নয়ন হয়েছে আমাদের দরগাপাশায়। আর তা করেছেন আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়। আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন বলেন, “মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে ব্রীজটি নির্মত হয়েছে। আমি স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী স্যারের উন্নয়নের আলোয় আলোকিত আমার পুরো দরগাপাশা ইউনিয়ন। আমি স্যারের নির্দেশনায় ইউনিয়নবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বুরুমপুর সেতুটি হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।”

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) আল নূর তারেক বলেন, “সেতুর কাজ শেষ। কিছু জায়গায় ব্লকের কাজ বাকি রয়েছে। পানির কারণে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। পানি কমলেই ব্লকের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়েত মধ্যে সেতুটির উদ্বোধন করা হবে।”

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন, “বুরুমপুর-বাংলাবাজার সংযোগ সেতুটি এই অঞ্চলের মানুষের স্বর্গস্বরুপ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি মহোদয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় শত বছরের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাচ্ছে এই এলাকার ৮-১০ গ্রামের মানুষ। শুধু এই সেতুই নয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের হাত ধরে উন্নয়নের মহাসড়কে পুরো শান্তিগঞ্জ উপজেলা। যেদিকেই থাকানো যায় শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের এই উন্নয়নের মহারথীকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন।”


সিলেটভিউ২৪ডটকম/এসকে/এসডি-১৪