প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে দুই মাস আত্মগোপনে থাকার পর ছাতকের সালমা আক্তার (ছদ্মনাম) (১৭) কে উদ্ধার করে মায়ের জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ সাহবাজপুর ইউনিয়নের ষাটঘরি গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাতক ও বড়লেখা থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। রবিবার বিকালে সালমার মায়ের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।


এর আগে গত (৩-জুন) সালমার মা ফুলতেরা বেগম ছাতক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তার মেয়ে সালমা এক মাস থেকে নিখোঁজ রয়েছে এমনটি উল্লেখ করে আইনী সহায়তা কামনা করেন। এর প্রেক্ষিতে শনিবার অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।

সালমা আক্তার (১৭) ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের মুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, এক বছর ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সৌদি প্রবাসী আব্দুল জলিলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সালমা আক্তারের। এই সুত্র ধরে আব্দুল জলিল দেশের বাহিরে থাকার পরও সালমা আক্তার গত (৩০-মে) গভীর রাতে পিত্রালয় থেকে সুকৌশলে পালিয়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সৌদি প্রবাসী আব্দুল জলিলের বাড়িতে স্বেচ্ছায় চলে যায়। এরপর মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে দাবি করে (৩-জুন) ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার মা ফুলতেরা বেগম।

এব্যাপারে সৌদি প্রবাসী আব্দুল জলিল মোবাইল ফোনে জানান, নোটারি পাবলিক এর এফিডেভিটের প্রেক্ষিতে ডায়না আক্তার আমার বিবাহিত স্ত্রী। তার পরিবারের মারপিট সইতে না পেরে সে (গত ৩০-মে) ঘর ছেড়ে আমার বাড়ির ঠিকানায় স্বেচ্ছায় চলে আসে। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং আমার বাড়িতেই সে বাস করে।

এব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন সালমা আক্তারের উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার পরিবারের তথ্য বিবরণি মোতাবেক সালমার বয়স বিবাহের বয়সের ১৮ দিন কম থাকায় বিয়ে আইনসম্মত নয়, তাই তাকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডিজেএস-৫