আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপকমিটির কথিত সদস্য মনির খান ওরফে দর্জি মনিরকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রবিবার (১ আগস্ট) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তার আটকের বিষয়টি জানায়নি।


মনিরের পরিবার ও তার বিশ্বস্ত এক বন্ধু ঢাকা টাইমসকে তার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা বলছেন, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল মনিরকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে কী অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে তা তারা জানেন না।

এদিকে মনির খান নিজেকে আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য পরিচয় দিলেও আসলে তিনি কোনো পদ-পদবিতে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তিনি মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করে আলোচনা আসেন। কিন্তু এসব ছবি এডিট করা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরও অনেকের সঙ্গে মনির খানও দলের মনোনয়ন ফরম কিনেন। এতেই তিনি দলের নেতা বলে দাবি করেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হেলেনা জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তারের পর আলোচনায় আসেন মনির খান। তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে নজরদারিতে রাখে। রবিবার সন্ধ্যার পর তাকে হাজারীবাগ থেকে আটক করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি এখনো জানায়নি।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) কে এম হাফিজ হাফিজ আক্তার বলেন, ‘মনিরের আটকের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।’

অভিযোগ রয়েছে, কামরাঙ্গীরচরে মনির খান নিজেকে পরিচয় দেন আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে, উপকমিটির সদস্য হিসেবে। অথচ যে উপকমিটির সদস্য পরিচয় দেন, সেই উপকমিটি এখনো গঠিতই হয়নি। তাকে চেনেনও না খোদ কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মনির খান দলীয় সভাপতি ও শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিজের ছবি প্রকাশ করেন। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এমন অনেক ছবি পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, এসব ছবি এডিট করা।

তবে মনির খান আজ বিকালে ঢাকা টাইমসের কাছে দাবি করেন, তার এসব ছবি আসল। দলের অনেক শীর্ষ নেতা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম


সূত্র : ঢাকা টাইমস