হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও এবং সাকোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


এছাড়াও সংঘর্ষের সময় বাড়ি-ঘরে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোববার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নবীগঞ্জ থানার (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ জানান, সাকোয়া গ্রামের বেনু মিয়ার পুত্র সমির ও করগাও গ্রামের নুরুল মিয়ার পুত্র টুটুল মিয়ার মধ্যে মাছ ধরা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় করগাঁও গ্রামের জনৈক এক মুরুব্বী ঘটনাটি মিমাংসা করতে গিয়ে সাকোয়া গ্রামের একজনকে তাপ্পর মারেন। এ খবর সাকোয়া গ্রামের লোকজনের কাছে পৌছলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরে সাকোয়া গ্রামের বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে করগাঁও গ্রামবাসীর উপর হামলা করে। হামলার খবর করগাঁও গ্রামবাসী মজসিদের মাইকে ঘোষণা দিলে করগাঁও গ্রামবাসীর সাথে গুমগুমিয়ার গ্রামের লোকজনসহ একসাথে সকলে ঝড়ো করে পাল্টা হামলা চালায়। এতে নারী শিশুসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

ওসি আরো জানান, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / জাকারিয়া / ডালিম