ছবি: শাহীন আহমদ।

গেল মাসের শুরুর দিকে সিলেটসহ সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম চলেছিল। ওই কার্যক্রমে প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। এবার তাদেরকে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। টিকা নিতে বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীরা গত ৭ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট গণটিকার আওতায় সিলেট বিভাগের ২ লাখ ৩৫ হাজার ১১৮ জন প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৩ উপজেলায় ২২২টি বুথে ৫৮ হাজার ৬৮৮ জনকে দেওয়া হয়েছিল প্রথম ডোজ। এছাড়া সিলেট নগরীতে গত ৭ আগস্ট গণটিকার প্রথম ডোজ নেন ২২ হাজার ৭৫৩ জন। দ্বিতীয় দিন ২৪ হাজার ২৯৪ জন এবং তৃতীয় দিন ১৯ হাজার ৩৯৯ জন টিকা নেন। সব মিলিয়ে তিন দিনে গণটিকা নিয়েছিলেন ৬৬ হাজার ৪৪৬ জন। আজ থেকে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হয়েছে।


সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, যারা যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন, তাদেরকে সেই কেন্দ্র থেকেই দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্র পরিবর্তন করলে টিকা পাওয়া যাবে না।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রথমবার নগরীর যেসব কেন্দ্রে গণটিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল, সেসব কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারও টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

তিনি বলেন, আগেরবার তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন যে ব্যক্তি যে কেন্দ্রে টিকা নিয়েছিলেন, এবারও প্রথম দিন সেই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তিনি টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। দ্বিতীয় দিন নিলে দ্বিতীয় দিন এবং তৃতীয় দিন নিলে তৃতীয় দিন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে। এতে কোনো বিশৃঙ্খলা করা বা ধারাবাহিকতার ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না।

এদিকে, সিলেট জেলায় একদিন এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনদিন গণটিকা প্রদানের কথা আগে জানানো হয়েছিল। তবে জেলা পর্যায়ে এবার ছয়দিন গণটিকা কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।

মূলত গতকাল সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ টিকাদান সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান চলবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা দেওয়া হবে তিন দিনে। দেশের অন্যান্য এলাকায় ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় দিন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জেলা পর্যায়ে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হচ্ছে মডার্নার টিকা।

সিলেট বিভাগের চার জেলায় ৫৯৫টি কেন্দ্রে গণটিকা কার্যক্রম চলছে।

সিটি করপোরেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকা গ্রহণ করতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রথম ডোজেরন সময় কেন্দ্র থেকে দেওয়া টিকাকার্ড অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে