কক্সবাজারের রক্ষিত ঝিলংজা বনভূমির ৭০০ একর জায়গায় প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দ দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স (এফইএস) এলামনাই এসোসিয়েশন।

সোমবার সন্ধ্যায় এফইএস এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবু সাঈদ আরফিন খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।


এতে বলা হয়, কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ এর পাশে হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান অন্তর্ভুক্ত পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় অবস্থিত রক্ষিত বনভূমি ধ্বংস করে সেখানে বঙ্গবন্ধু সিভিল সার্ভিস একাডেমি (বিএপিএ) ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের (বিএএসএ) এর নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দ দিয়েছে। বন অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মতামত উপক্ষো করে প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য অকৃষি খাসজমি দেখিয়ে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার এই বনভূমি বরাদ্দ দেয়া ও নেয়া উভয় কর্মকাণ্ডই দেশের বিদ্যমান জাতীয় বননীতি ১৯৯৪, দ্যা ফরেস্ট এক্ট ১৯২৭, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৬, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রেটেজি (২০১৬-২০৩১) এবং ন্যাশানাল বায়োডাইভারসিটি স্ট্রেটেজি এন্ড অ্যাকশন প্লান অব বাংলাদেশ ২০১৬-২১ এর পরিপন্থী।

বর্তমান সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে প্রশিক্ষণ একাডেমী করার এই মহতী উদ্যোগে কোন আইন পরিপন্থী বিষয়কে উৎসাহিত করবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এফইএস এলাইমনাই এসোসিয়েশন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় ন্যূনতম ২৫ ভাগ বনভূমির প্রয়োজন যা বর্তমানে আমাদের দেশে মাত্র ১০ ভাগের কাছাকাছি আছে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে দেশের এই সীমিত বনভূমি ধ্বংস হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে দেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্র অর্জনে ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে বলিষ্ঠ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/এএএম/এসডি-১৫