সিলেটে রোপা আমন ধান চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যেই আমন ধান চাষে বীজতলার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা ছাড়িয়ে গেছে। জমি আবাদেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে বলে মনে করছেন তারা। একইসাথে ফসল উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর বন্যা না হওয়ায় এবং আবহাওয়া উপযোগী থাকায় আমন ধান নিয়ে নতুন আশা দেখা দিয়েছে।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, এ বছর সিলেট বিভাগে আমনের ২০ হাজার ৯৬৪ হেক্টর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যেই ২২ হাজার ৪২৪ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন কৃষকরা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি।


বিভাগের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সিলেট জেলায় ৭৫৬ হেক্টর বেশি জমিতে বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জে ২২৩ হেক্টর বেশি, মৌলভীবাজারে ২৩১ হেক্টর বেশি ও হবিগঞ্জে ১৫০ হেক্টর বেশি জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন কৃষকরা।

এদিকে, সিলেট বিভাগে এ বছর রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ হেক্টর। গেল ৯ সেপ্টেম্বর অবধি আবাদ হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমি। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ ভাগ। সামনের দিনগুলোতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি জমিতে আমন আবাদ হবে বলে ধারণা কৃষি কর্মকর্তাদের।

সিলেট জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা) বিমল চন্দ্র সরকার বলছেন, গেল বছর তিন দফার বন্যায় কৃষকরা বীজতলা ঠিকমতো তৈরী করতে পারেননি। এবার অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আউশ ধানের ফলন বাম্পার হয়েছে। কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে আমন চাষে মনোযোগী হয়েছেন। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমনের আবাদ হবে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ দিলীপ কুমার অধিকারী বলেন, সিলেট হচ্ছে বন্যাপ্রবণ অঞ্চল। বন্যার কারণে আগের ধানের আবাদ করা কঠিন হয়। তবে এবার প্রয়োজনীয় বৃষ্টি থাকায় এবং বন্যা না হওয়ায় কৃষকরা ধান রোপনে ভালো সুযোগ পেয়েছেন। যদি পোকার আক্রমণ না হয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে  ক্ষতি না হয়, তবে উৎপাদন অনেক বেশি হতে পারে।

এই কর্মকর্তা জানান, এ বছর উফশী জাতের ২ দশমিক ৭৪ এবং স্থানীয় জাতের ১ দশমিক ৩৭ গড় ফলনে বিভাগে ১০ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৪ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে