জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, তালেবানের কাছ থেকে তিনি একটি চিঠি পেয়েছেন। এই চিঠিতে তালেবান সদস্যরা জাতিসংঘের কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া নারী অধিকার নিয়েও প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে তারা।

এ প্রসঙ্গে গুতেরেস রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুটনিককে বলেন, তালেবানের সঙ্গে ত্রাণসহায়তা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সমগ্র আফগানিস্তানজুড়ে কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়া মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘে কর্মরতদের সুরক্ষা, নারী অধিকার ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে।


জাতিসংঘ তালেবানের সঙ্গে চলতি মাসের শুরুর দিকে আলোচনা শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের দূত মার্টিন গ্রিফিতস আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, তালেবানের সঙ্গে এসব ইস্যুতে গঠনমূলক ও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এসব ইস্যুতে তালেবান বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহ পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তালেবান। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দেশটিতে সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক তহবিলে আফগানিস্তানের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড এবং ইউএস সেন্ট্রাল ব্যাংক। ফলে চরম সংকটে পড়েছেন আফগানরা।

জাতিসংঘ এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, শীত আসার আগেই আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষের খাবার ফুরিয়ে যেতে পারে। তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানো না গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ শিশু মারাও পড়তে পারে।

জেনেভায় জাতিসংঘের সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ, ভোগান্তি ও নিরাপত্তাহীনতার পরেও আফগানরা ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়ের’ মুখোমুখি। তাই বেঁচে থাকার জন্য আফগানিস্তানের জনগণের সহায়তার প্রয়োজন। দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

এর পর আফগানিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেয় বিভিন্ন দেশ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-০৩


সূত্র : যুগান্তর