একদিকে করোনার দাপট, অন্যদিকে ডেঙ্গুজ্বরের প্রদুর্ভাব সিলেটসহ সারাদেশে এক অজানা আতঙ্ক তৈরি করেছে। করোনা রোগীর পাশাপাশি সিলেটেও হাসপাতালে প্রায় দিন ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী।

এ অবস্থায় বাসাবাড়ি, বেসমেন্ট ও পরিত্যক্তসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশন এবং পরিচ্ছন্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে বার বার বলা হলেও সিলেট নগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দীর্ঘদিন ধরে জমে আছে আবর্জনায় ভরপুর পানি। সে জায়গাটি ভয়ঙ্কর ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার বিস্তারে সহায়ক হলেও পরিস্কার করতে উদ্যোগ নিচ্ছে না জায়গাটির পরিচালক-ব্যবস্থাপকরা। এদিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না সিলেট সিটি করপোরেশনও।


সিলেট নগরীতে শিশুদের একমাত্র বিনোদনের স্থান ‘বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যান’। সেই উদ্যানে স্থাপনাধীন ‘ওয়াটার স্লাইড’ রাইডারে দীর্ঘদিন ধরে জমে আছে বৃষ্টির পানি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন- গাছের গর্ত, কাটা বাঁশের গুঁড়ি, পরিত্যক্ত জায়গা, ভাঙা রাস্তা ও ডোবার স্বচ্ছ পানি ইত্যাদি স্থানে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করে। কিন্তু নগরীতে শিশুদের একমাত্র বিনোদনের স্থান ‘বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যানে’ দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা পানি এড়িয়ে যাচ্ছে সিসিকের চোখ।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটভিউ-কে বলেন, সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম তাঁর টিম নিয়ে বিভিন্ন সময় নগরীর বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি পরীক্ষা করে দেখেন এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব রয়েছে কি-না। ওসমানী শিশু উদ্যানের ওই জায়গাটি হয়তো নজর এড়িয়ে গেছে। তবে আগামীকালই (রবিবার) সেখানে টিম পাঠিয়ে দ্রুত এ পানি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, করোনাকালে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে গত মাসে মশকনিধন অভিযান শুরু করে সিলেট সিটি করপোরেশন। সপ্তাহব্যাপী এ অভিযানে ডেঙ্গু মশার উৎস সন্ধান করে এ কার্যক্রম চালায় সিসিক।

সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনাকালে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটলে আরেক বিপদের মুখে পড়তে হবে নাগরিকদের। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এরই মধ্যে নগরীর দক্ষিণ সুরমায় ডেঙ্গু মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় আগস্ট মাসে মশকনিধন অভিযান চলানো হয়েছে।

নগরবাসীকে তাঁদের বাসাবাড়ির ছাদ, ফুলের টব, এসির জমানো পানি, নারকেলের খোসা, টায়ার-টিউব কিংবা টিনের কৌটা ইত্যাদি স্থানে পানি জমে না থাকে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া নগরীর কোথাও কোনো ডেঙ্গুবাহী মশার উৎসের সন্ধান পেলে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগকে জরুরিভিত্তিতে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র আরিফ।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম