ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেছেন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিশেষ করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক অর্জন সক্ষমতা, প্রাণশক্তি, প্রচেষ্টা ও ইচ্ছাশক্তির বার্তা বহন করে। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম তথা সমাজে দৃঢ়তা, আশা ও আনন্দের বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ক্রীড়াবিদরা দৃঢ়তা, আশা ও প্রফুল্লতার প্রশিক্ষক।

এবারের টোকিও অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকে পদকজয়ীরা আজ (শনিবার) সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি আরও বলেন, আমাদের নারী ক্রীড়াবিদরা প্রমাণ করেছেন ইসলামী পোশাক বা হিজাব তাদের অগ্রগতির জন্য বাধা নয়। এর আগেও তারা রাজনীতি, বিজ্ঞান, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এটা প্রমাণ করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমাদের মহিলা ক্রীড়াবিদদের হিজাব বা ইসলামী শালীন পোশাক অন্যান্য মুসলিম দেশের নারীদের জন্য মনোবল যুগিয়েছে। পরবর্তীতে আরও দশটির বেশি মুসলিম দেশের নারী ক্রীড়াবিদরা হিজাব পরে ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত হয়েছে। এগুলো সাধারণ কোনো কাজ নয়। আপনারা পদকজয়ী ইরানি হিসেবে এই পথ খুলে দিয়েছেন।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ঘাতক ও অবৈধ সরকার আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অঙ্গনে অংশগ্রহণ করে বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করছে। বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং তাদের তল্পিবাহকরা এ ক্ষেত্রে সাহায্য ও সমর্থন করছে। একজন স্বাধীনচেতা ক্রীড়াবিদ পদক পাওয়ার জন্য ইহুদিবাদীদের প্রতিনিধিকে স্বীকৃতি দিতে পারেন না। সরকারের উচিত ইরানিদের পাশাপাশি আলজেরিয়ার ক্রীড়াবিদের মতো ঐসব অ-ইরানি ক্রীড়াবিদদেরও অধিকার রক্ষা করা ও সহযোগিতা দেওয়া যারা ইহুদিবাদী প্রতিপক্ষকে দেখে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং বঞ্চিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থা ছিল ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মতো। সে সময়ও বিশ্বের অনেক ক্রীড়াবিদ তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে রাজি হননি। সেই সরকার ব্যবস্থার পতন হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ইরানের ক্রীড়াবিদরা যে ধরণের ক্রীড়া পোশাকের প্রচলন ঘটিয়েছেন সে ধরণের পোশাক পরে এ বছরের অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকে কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। এটা বিশ্বে ইরানিদের সাফল্যের প্রমাণ। তারা কোনো কোনো বাঁধাধরা আন্তর্জাতিক প্রতীকের আধিপত্য ভেঙে দিতে পেরেছেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-৩০


সূত্র : বিডি-প্রতিদিন