দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে চলছে না। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের বাইপাস এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের নামে চাঁদাবাজি করায় আন্তঃজেলা বাসগুলোর শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন। এ কারণে সুনামগঞ্জ-ঢাকা, সুনামগঞ্জ-কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ-ময়মনসিংহসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা বিপদে পড়েছেন।

সারাদেশ থেকে আসা পর্যটক, পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা বেকায়দায় পড়েছেন। বাস চলাচল না করায় তারা নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারছেন না।


রিয়াজুল ইসলাম নামের আটকা পড়া এক যাত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিতে ঢাকা যেতে চাচ্ছিলাম। এখন বাসস্টেশনে এসে জানতে পারলাম, আজ থেকে ঢাকাগামী বাস চলবে না। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি। আগে জানলে আমি ঢাকা যাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করতাম।

শ্যামলী পরিবহনের শ্রমিক আব্দুল করিম বলেন, আমরা প্রতিদিন ঢাকায় যাওয়ার সময় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বাইপাস থেকে চাঁদা নেয় কিছু মানুষ। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা চাঁদা বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আজ আমরা বাধ্য হয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।

সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক বললেন, সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃজেলা বাসগুলো সিলেটের বাইপাস সড়কে গেলেই চাঁদাবাজির শিকার হয়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই অরাজক পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদাবাজি ঠেকাতে সিলেটের শ্রমিকনেতারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নালিশ করায় তারা আরও বেপরোয়া হয়েছে। শ্রমিকদের মারধরও করেছে তারা। এই অবস্থায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সিলেটের পথে চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা সুনামগঞ্জের শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা নিজেরা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/নূর/আরআই-কে