হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম। প্রত্যান্ত এ গ্রামটি ভাটি এলাকার একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থিত। বর্ষাকালে গ্রামটির চার দিকে শুধুই অথৈ জলারাশি। আর এর মধ্যে দাড়িয়ে রয়েছে রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

হেমন্ত মৌসুমে কাদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীরা চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে যেতে হয় ছোট ছোট নৌকা দিয়ে। আর এতে করে সবসময় শংসয়ে থাকতে হয় ক্ষুদে এসব শিক্ষার্থীদের। তাই অচিরেই যেন স্কুলের সাথে সংযুক্ত করে একটি রাস্তা অথবা ব্রীজ নির্মাণ করে দেয়া হয় সে জন্য দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।


জানা যায়, ১৯৮৮ সাল থেকে রসুলপুর গ্রামে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার সংস্কার কাজ করা হয় স্কুলটিতে। ভাটি অঞ্চল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ডেউয়ের কারণে ভেঙ্গে যায় স্কুলসহ ওই গ্রামের অনেক বাড়ি-ঘর। যে কারণে সবশেষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে নতুন সংস্করণের মাধ্যমে স্কুলের পুণঃনির্মাণ হয়। তৈরী করা হয় নতুন ভবন। পানির মধ্যে ভেসে ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেও শিক্ষার্থীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। গ্রাম থেকে সংযোগ কোন সড়ক বা ব্রীজ না থাকায় ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, ভাটি অঞ্চল হওয়ায় এখানকার অনেক স্কুলই নতুন ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। পানির মধ্যে স্কুল ভবনগুলো ভেসে থাকলেও বর্ষা মৌসুমে ভোগন্তির শেষ নেই শিক্ষার্থীদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি স্কুলের সাথে সংযুক্ত করে কোন রাস্তা বা বর্ষা মৌসুমের জন্য সাময়িক ব্রীজ নির্মাণ করত তা হলে ভোগান্তি অনেকটাই কমে যেত।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মমতা রাণী দেবী জানান, আমাদের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২৪২ জন। স্কুলের কোন খেলার মাঠ নেই। নেই টিউবওয়েলও। একটি রাস্তার জন্য বার বার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, স্কুলের রাস্তার জন্য আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় দাবী জানিয়েছি কয়েক বার। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদ স্কুলের রাস্তাটি করেনি। প্রাথমিক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাস্তা করার কোন বরাদ্দ নেই।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/জেসি/এসডি-১৯