রঙ-বেরঙের কত নৌকা ভবের তলায় আয়, রঙ-বেরঙের সারি গাইয়া ভাটি বাইয়া যায়- হাওরের কিংবদন্তি বাউল সম্রাট আবদুল করিমের গানের সুরে সুরে মাতোয়ারা হয়ে উঠে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মই হাওর। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় নানা বাহারি নামের নৌকা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সৌখিন নৌকা বিলাসীরা। জগন্নাথপুর পৌর সভার পৌরসভার উদ্যাগে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আয়োজনকারীরা জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন প্রতি বছর হয়ে থাকে।অনেক প্রবাসী ও এলাকাবাসী সখের বশে নৌকা তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। জলপবন, ময়ূর পঙ্খি, জলহস্তী, কুশিয়ারাতরী, বাংলার পবন বাহারি নামের নৌকাগুলো হাওর এলাকায় নৌকা বাইচে দাপিয়ে অংশ নিচ্ছে।।


সম্প্রতি জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও এলাকার পাখিমারা হাওরে বিশাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতে জগন্নাথপুর উপজেলার মই হাওরে আয়োজন করা হয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার। এতে ৭টি নৌকা অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের চকতিলক গ্রামের নৌকা বাংলার পবন। দ্বিতীয়স্হানে ছিল পৌর এলাকার হবিবপুর গ্রামের পবন। শনিবার বিকেলে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, জগন্নাথপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র মিজানুর রশীদ, জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আফছর উদ্দিন ভূঁইয়া, প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম, সাবেক প্যানেল মেয়র সফিকুল হক, পৌর কাউন্সিলর সুহেল আহমেদ প্রমুখ এ সময় বিজয়ী নৌকার প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

আয়োজকদের একজন জগন্নাথপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুহেল আহমেদ জানান, প্রতিযোগিতায় ১০ টি নৌকা অংশ নেয়। হাজার হাজার মানুষ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।

প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আফছর উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গ্রামীণ সংস্কৃতিতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা এখনো খুব জনপ্রিয়। শনিবার বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। মই হাওর লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডিজেএস-৪