উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির এই সময়ে সিলেট সিটি করপোরেশনও পিছিয়ে নেই। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীরর দাবি- আইসিটি ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি সাধন করেছে সিসিক।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নগরীর আরামবাগ এলাকার একটি কনভেনশন হলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন মেয়র আরিফ।


৮৩৯ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ঘোষিত নতুন এই বাজেট ঘোষণার সময় মেয়র আরিফ বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ই-নথি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অফিসের বিভিন্ন নথি ও ডাক এর কার্যক্রম ই-নথির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। ই-নথি সফলভাবে বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন দরপত্র বর্তমানে ই-টেন্ডার এর মাধ্যমে আহবান করা হচ্ছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বর্তমানে অনলাইনে সম্পাদিত হচ্ছে। ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে প্রাপ্তি ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ফি প্রদানের সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।

মেয়র বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স অন লাইনে প্রাপ্তি ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ফি প্রদানের সিস্টেম তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গ্রাহক ঘরে বসেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স ফি পরিশোধ করতে পারেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে “নগর মোবাইল অ্যাপ” নামে একটি অ্যাপ তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো পরামর্শ ও দূর্নীতির অভিযোগ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো যায়।

এছাড়া এই অ্যাপের মাধ্যমে কাছের হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, মসজিদ, এটিএম বুথ ইত্যাদি খোঁজে পাওয়া যায়। নগর অ্যাপে আরো আছে মেয়র, কাউন্সিলর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগনের মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য।

তাছাড়া অনলাইন বিল সংক্রান্ত গ্রাহক আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একজন নাগরিক অ্যাপটিতে লগ ইন করে তার বিল এর হাল নাগাদ তথ্যও পেতে পারেন।

আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে পানির বিল অনলাইনে প্রাপ্তি ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে প্রদানের সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সিলেট সিটি কর্পোরেশন-এর জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদন করা হচ্ছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম