টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রী ছবুরা খাতুনকে (৪৫) শ্বাসরোধে হত্যার বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী স্বামী আব্দুল লতিফও মারা গেছেন। রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এর আগে, শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গড়জনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতেই পুলিশ ছবুরার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।


ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল হক আকন্দ নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার দুপুরে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রী ছবুরা বেগমকে তার স্বামী লতিফ মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। পরে লতিফ নিজে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ছবুরার মামাতো ভাই প্রতিবেশী নুরু মিয়া বলেন, পরকীয়ার সন্দেহে দুজনের মধ্যে বিবাদ-কলহ প্রতিদিনই হতো। শনিবারও এ নিয়ে সকাল থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ঝগড়ার একপর্যায়ে লতিফ ছবুরাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। পরে নিজে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

ছবুরার লাশ উদ্ধারের পর ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি একটি হত্যাকাণ্ডই মনে হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-২৬


সূত্র : কালের কণ্ঠ