১৪৪ ধারা ভেঙে সরকারি জমির দখল নিতে বগুড়ার শেরপুরে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। ফলে যেকোনো সময় ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান করছে।

আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ম্যাচকান্দি গ্রামে সরকারি ওই জমিতে জোরপূর্বক ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে এই অবস্থার তৈরি হয়েছে।


সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গ্রামের ম্যাচকান্দি জামে মসজিদের সামনে সরকারি সাত শতক জমি রয়েছে। সেটি মুসল্লিদের সুবিধার্থে গ্রামবাসী ব্যবহার করছেন আসছেন। পরবর্তীতে জমিটি পনেরো বছরের জন্য লিজ নেন একই গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে আবুল হোসেন প্রামাণিক। এরপর তার নামে ওই জমি রেকর্ডও করে নেওয়া হয়। সেইসঙ্গে জমিটিতে ইট-বালু ফেলে ঘর তোলার প্রস্তুতি শুরু করা হলে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী তাতে বাধা দেন। পরে মসজিদ কমিটি ও গ্রামের ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আবুল হোসেন প্রামাণিক। এরপর আদালত সরকারি ওই জায়গায় ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতের এই আদেশ ভেঙে মামলার বাদী নিজেই সোমবার সকালের দিকে তার লোকজন নিয়ে ওই জায়গায় টিন ও ইট দিয়ে ঘর তোলা শুরু করেন। আর এই খবর পেয়ে মসজিদ কমিটি ও গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সেখানে গিয়ে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় তাদের এই ধাওয়া-ধাওয়া চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বর্মণ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আদালতের আদেশ ভেঙে ঘর তোলা নিয়ে উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের জারি করা আদেশের কপি সাটিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-১৯


সূত্র : কালের কণ্ঠ