অধিকৃত পশ্চিম তীরে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে পাঁচ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এত সহজে হার মানেননি ফিলিস্তিনিরা, প্রাণ হারানোর আগপর্যন্ত লড়ে গেছেন বীরের মতো। তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছে ইসরায়েলের দুই সেনা। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ লেইল জানিয়েছেন, এদিন জেরুজালেমের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রাম বিদ্দুর তিনজন এবং জেনিনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রাম বুরকিনের দুই বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছেন।


ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াইয়ে তাদের দুই সেনা মারাত্মক আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মোহাম্মদ লেইল জানিয়েছেন, বিদ্দু গ্রামে নিহত তিন ফিলিস্তিনির মরদেহ ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে রয়েছে। চতুর্থজন জেনিনের একটি হাসপাতালে মারা যান।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার খবর অনুসারে, বুরকিন গ্রামে নিহত এক তরুণের বয়স মাত্র ২২ বছর। ইসরায়েলি বাহিনী বাড়ি ঘিরে ফেললেও সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গ্রামটিতে মারা যাওয়া আরেকজনের বয়স আরও কম, মাত্র ১৬ বছর।

এছাড়া বিদ্দুর তিনজন নিহত হওয়ার সময়ও সশস্ত্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। গ্রামটির নিকটবর্তী বেইত আনান শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে প্রাণ হারান তারা।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের দাবি, তাদের সেনারা হামাস সদস্যদের গ্রেফতার করতে এই অভিযান চালিয়েছিল।

পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমি নিহতদের পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের জন্য সান্ত্বনা এবং এই বেআইনি দখলদারিত্ব থেকে আমাদের জনগণের স্বাধীনতা কামনা করি।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযান নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কয়েক মাস ধরে জেনিন এলাকার বাসিন্দাদের সামনে সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে দখলদারদের।

গত মাসে শহরটির একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানের সময়ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে বর্বর সেনারা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-৪৪


সূত্র : জাগো নিউজ