নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও সিন্ডিকেট রুখতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগঠনটি। এসময় বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। অনেকে বিদেশ থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। দেশে কাজ হারিয়ে বা ব্যবসা গুটিয়ে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমন একটা পরিস্থিতে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এছাড়া এলপি গ্যাসেরও দিন দিন মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ব্যাপারে সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। এতে দিশেহারা ভোক্তারা।


আলু, পেঁয়াজ, চাল, তেল, এলপিজিসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম কমাতে কমিটি গঠন করার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। অথচ আমরা দেখি কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। আবার ভোক্তারাও চড়া দামে পণ্য কিনছেন। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে কৃষক এবং ভোক্তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

তিনি আরও বলেন, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকায়। সরকার নির্বিকার। কৃষক ঠকে মাঠে আর ভোক্তারা ঠকে হাটে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, যখন সরকার নিজেই ঘোষণা দেয় যে দু-এক মাসের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম কমবে না, তখন মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা দ্রব্যের দাম আরও বাড়াতে থাকে। এর মধ্যে হঠাৎ এলপিজির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোক্তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

জাতীয় জাগো নারী ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক রেহেনা আকতার বলেন, দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রায়ই রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। অথচ দাম কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হয় না। এদিকে কৃষকও কিন্তু ন্যায্যমূল্য পান না। ফলে একদিকে উৎপাদনকারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা কষ্ট পাচ্ছেন।

মানববন্ধন ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গর্জো এর সভা প্রধান সৈয়দ মনিরুজ্জামান লিটু, জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুমিনুল ইসলাম, অনলাইন জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক মাহফুজ জাহিদ প্রমুখ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জিএসি-০৭


সূত্র : যুগান্তর