আজকাল কানে কটন বাড ব্যবহার করা খুব সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে। অথচ এটা ব্যবহার করা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। বরং কটন বাড ব্যবহার করে অজান্তে নিজেদেরই বিপদ ডেকে আনছি আমরা। গবেষণা বলছে, কটন বাড ব্যবহারে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হচ্ছে।

কানের ময়লা (ওয়াক্স) আপনা-আপনিই তৈরি এবং বের হয়। এই ওয়াক্স ছাকনির মতো যা ময়লা ও ধূলিকণা আটকাতে সাহায্য করে। ওয়াক্স তৈরি না হলে কান শুষ্ক হতে পারে, চুলকানি হতে পারে। এসব পরিষ্কার করতে কটন বাড ব্যবহারের কোনো দরকার নেই।


আসলে যা ঘটে

• কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানের ভেতরের ময়লা যতটা না বের হয়, তারও চেয়ে বেশি ভেতরে ঢুকে যায়।

• অনেক ক্ষেত্রে এসব ময়লা কানের পর্দার কাছাকাছি বা পর্দার ওপর স্তর আকারে জমে যায়। তখন সেই ময়লা কানের পর্দায় ব্লক হয়ে যায়, যাকে বলে ইম্প্যাক্টেড ওয়াক্স।

• বহুদিন ধরে কটন বাড ব্যবহার করলে ছত্রাক সংক্রমণও হতে পারে। তখন আঘাত লাগলে কানের পর্দা দ্রুত ফেটে যাওয়া বা কানের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

• এক পর্যায়ে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে; হারিয়ে যেতে পারে দেহের ভারসাম্যও।

• কানের ভেতরের সূক্ষ্ম চামড়ায় নানা সমস্যা তৈরি ও ব্যথার কারণ এই কটন বাড।

• কটন বাডের তুলার কিছু অংশ কানে রয়ে গিয়ে আরো বিপদ বাড়াতে পারে।

কান কি পরিষ্কার করা উচিত?

• কান খুঁচিয়ে পরিষ্কারের কোনো প্রয়োজনই নেই। প্রাকৃতিকভাবেই কানের ময়লা বেরিয়ে আসে।

• কানের সামনের দিকে যেসব ময়লা থাকে, সেগুলো কটন বাড দিয়ে পরিষ্কার করা হয়তো সম্ভব; কিন্তু ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়।

• একান্তই কোনো কারণে কানের ময়লা পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়লে সে কাজটি ইএনটি চিকিৎসকরাই করবেন। তাই কানের সুস্থতার জন্য আজই ছাড়ুন কটন বাড।

বেশি চুলকালে

কান বেশি চুলকাচ্ছে মনে হলে অলিভ অয়েল, বেবি অয়েল, মিনারেল অয়েল, গ্লিসারিন—এসবের কোনো একটির কয়েক ফোঁটা কানে দিতে পারেন। ময়লা নরম হয়ে আপনি বেরি আসবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জিএসি-০৭


সূত্র : কালের কণ্ঠ