দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নেয় হল কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ভিড় করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে সকাল ১০টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের হলে উঠার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর আলমগীর কবির, বিভিন্ন হল প্রভোস্ট, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।


বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে হলে তোলা হবে।

সকালে কয়েকটি আবাসিক হলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে হলে ঢুকছেন। ফটকের ভেতর হল প্রভোস্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র আছে কি না, তা যাচাই করে দেখছেন।

এছাড়া, হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ফুল, চকলেট ও বিশ্ববিদ্যালয় লোগো সংবলিত মাস্ক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

সকাল থেকেই রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন উপায়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসেন, সঙ্গে আছে ট্রাংক, বাক্স ও ব্যাগে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। প্রতিটি হলের সামনে সকাল ১০ টার আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করে।

প্রতিটি হলে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন। হলের দেয়ালগুলো চুনকাম ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজও শেষ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী তাসনিম জেরিন বলেন, ‘এতদিন পর হল খুলে দিয়েছে, কতটা ভালো লাগছে বলে প্রকাশ করা যাবে না আসলে৷ ক্যাম্পাস লাইফটা অনেক মিস করেছি৷ আশা করছি পড়াশোনার যে ঘাটতিটা হয়েছে, সেটি আমরা দ্রুতই পুষিয়ে উঠতে পারবো৷’

বিশ্ববিদ্যালয় শাহপরান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, আজকে আমাদের জন্য খুব আনন্দের দিন৷ অনেকটা মনে হচ্ছে যেন ঈদের দিনের মতো৷ দীর্ঘদিন পর শাবিপ্রবির সব হল খুলে দেওয়া হয়েছে। এরই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আমরা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিতে ফুল, মাস্ক ও চকলেট দিয়ে বরণ করেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্বের পরিচয়পত্র এবং কমপক্ষে এক ডোজ কোভিড টিকা নেওয়ার সনদপত্র দেখানোর পর আমরা শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছি৷

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এএলএম/মিআচৌ-১৩