সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৬ নং লালাবাজার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার (ইউপি সদস্য) মো. ফেরদৌস মিয়া চেয়ারম্যান পদে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। ইউনিয়নবাসীর চাওয়ায়, বিশেষ করে ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নংসহ পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডগুলোর সর্বস্তরের মানুষের দাবির মুখে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।

জানা যায়, মো. ফেরদৌস মিয়া ঝাজর গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এ সভায় তিনি আসন্ন নির্বাচনে আর মেম্বার প্রার্থী হবে না বলে ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত সর্বস্তরের লোকজন তাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জোর দাবি জানান। এলাকাবাসীর পীড়াপীড়িতে অবশেষে সেই মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান পদে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন ফেরদৌস মিয়া।


ওই মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লালাবাজার ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান পীর মো. ফয়জুল হক ইকবাল। এছাড়াও ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নংসহ পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডগুলোর গণমান্য মুরুব্বিয়াণ, যুবসমাজ, তরুণসমাজ ও ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে মো. ফেরদৌস মিয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আগামী ২ নভেম্বর তা জমা দেবেন।

ইলেকশন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সিলেটের ৭৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। এদিন লালাবাজার ইউনিয়নেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নটিতে ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী বাছাই করেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও লালাবাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আরও তিন জন। তারা হচ্ছেন- জামায়াত নেতা আব্দুল মুহিত, ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও সাবেক জামায়াত নেতা মো. শহিদুর রহমান শহিদ এবং বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী সিফতা।

তবে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর চেয়ে এলাকাভিত্তিক প্রার্থীকে ভোটাররা অগ্রাধিকার দিবেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাই বিগত নির্বাচনে লালাবাজারে ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা ফেরদৌস মিয়া বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।

ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নংসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মেম্বার মো. ফেরদৌস মিয়া এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতাসুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন ন্যায্য গ্রহীতাদের। রাত-বিরেতে ওয়ার্ডবাসীর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। নিজের ওয়ার্ডের বাইরে গিয়েও মানুষের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাই ফেরদৌস মিয়াকে এবার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে মেম্বার মো. ফেরদৌস মিয়া বলেন, এলাকার মানুষের ভালোবাসায় আমি বিগত নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ৫টি বছর ওয়ার্ডবাসীর সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থেকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছি। নিজের ওয়ার্ডের বাইরে গিয়েও অনেক বিচার-সালিশসহ সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত হয়েছি। এবার ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ, সর্বোপরি আমার এলাকার মানুষ চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জোর দাবি জানানোর ফলে তাদের সেই ভালোবাসার দাবিকে উপেক্ষা করতে পারিনি।

ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং আগামী ২ নভেম্বর তা জমা দেবেন বলে জানান ফেরদৌস মিয়া।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম