প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের নামে করে নিয়েছিল পাকিস্তান। তৃতীয় টি২০ তে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু বাজে খেলার ধারাবাহিকতা এই ম্যাচেও অব্যাহত ছিল । প্রথমে ব্যাটিং করে মাত্র  ১২৫ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। পরে মাহমুদুল্লাহর করা শেষ ওভারের শেষ বলে চার মেরে নাটকীয় জয় পায় পাকিস্তান। এই হার দিয়ে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজে দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর চেনা আঙিনায় ফিরেও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটেও কোনোমতে দলটি করতে পারে কেবল ১২৪ রান। এরপরও দারুণ লড়াই করেন বোলাররা। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ডানহাতের আঙুলে চোট পান তাসকিন আহমেদ। কিছুটা সময়ে বাইরে থাকার পর মাঠে ফিরে চোট নিয়েই করেন দুটি ওভার। অন্য বোলাররাও চেষ্টা করেন সাধ্যমতো। ম্যাচ গড়ায় শেষ বলে। তবুও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।  


মূল বোলারদের ওভার শেষ। শেষ ওভার একজন অনিয়মিত বোলারকে দিতে হতোই। বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক নিজেই। স্রেফ ৮ রানের পুঁজি নিয়েও জাগান জয়ের আশা।

প্রথম ছিল বল ডট। পরের বলে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন সরফরাজ আহমেদ। তৃতীয় বলে লং অনে মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাতে ধরা পড়েন থিতু ব্যাটসম্যান হায়দার আলি।

চতুর্থ বলে ছক্কায় ওড়ান ইফতেখার আহমেদ। ম্যাচে তখনও নাটকীয়তার বাকি। পরের বলেই থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন ইফতেখার!

নানা ঘটনা পেরিয়ে শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানের ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৭ (নাঈম ৪৭, শান্ত ৫, শামীম ২২, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, মেহেদি ৫*, আমিনুল ৩; নওয়াজ ১-০-২-০, দাহানি ৩-০-২৪-১, ওয়াসিম জুনিয়র ৪-০-১৫-২, রউফ ৪-০-০০-১, ইফতেখার ৪-০-১৩-০, কাদির ৪-০-৩৫-২)

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৫/৫ (রিজওয়ান ৪০, বাবর ১৯, হায়দার ৪৫, সরফরাজ ৬, ইফতেখার ৬, খুশদিল ০*, নওয়াজ ৪*; মেহেদি ৪-০-১৯-০, তাসকিন ৩.১-০-১৬-০, নাসুম ৪-০-২০-০, শহিদুল ৩.৫-০-৩৩-০, আমিনুল ৪-০-২৬-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১০-৩)

 

সিলেটভিউ২৪/নাজাত-০২