এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা ৭৫ পয়সা। এখন তা ৫ পয়সা বেড়ে ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে বেড়েছে ১ টাকা। শতকরা হিসাবে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে।


এদিকে ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১৮২ কোটি ২০ লাখ ডলার বাজারে ছেড়েছে। এর বিপরীতে কেন্দ ীয় ব্যাংক গড়ে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। এর পরও বাজারে ডলারের সংকট কাটছে না। এর বিপরীতে রিজার্ভের পরিমাণ কমছে। মঙ্গলবার তা কমে ৪ হাজার ৪৯৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে কমেছে ১৫৫ কোটি ডলার। অপর দিকে করোনার কারণে এলসির দেনা স্থগিতের পরিমাণ গত অর্থবছর পর্যন্ত বেড়ে ২২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এসব দেনা এখন শোধ করতে হচ্ছে। বৈদেশিক ঋণের কিস্তিও শোধ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে এলসি খোলার হার বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। এসব মিলে বৈদেশিক দেনা শোধের চাপ বেড়েছে।

এক দিকে দেনা পরিশোধের চাপ বেড়েছে, অন্য দিকে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমেছে। চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত রপ্তানি আয় বেড়েছে ২৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই অক্টোবরে রেমিট্যান্স বেড়েছিল ৪৩ শতাংশ। একই সময়ে তা কমেছে সামান্য। ফলে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে।

ব্যাংকগুলোতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নগদ ডলারের দাম। নগদ আকারে প্রতি ডলার এখন সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেসরকারি খাতের মিডল্যান্ড ব্যাংক এই দরে বিক্রি করছে। এ ছাড়া সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ৯০ টাকা ২০ পয়সা, ব্যাংক আল ফালাহ ৯০ টাকা ১০ পয়সা দরে বিক্রি করছে। অন্য ব্যাংকগুলো ৮৭ টাকা থেকে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা দরে বিক্রি করছে।

করোনার পর বিদেশ ভ্রমণের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার কারণে বিভিন্ন কাজে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এ কারণে বেড়েছে নগদ ডলারের চাহিদা। যে কারণে এর দামও বেড়েছে বেশি। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলার জন্য প্রতি ডলার গড়ে ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা থেকে ৮৫ টাকা ৯০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিটি-১৮