২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম চলছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। গত এক সপ্তাহে সরকারি স্কুলে প্রায় সাড়ে চার লাখ আর বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে প্রায় দুই লাখ আবেদন জমা হয়েছে বলে জানা গেছে। সে হিসাবে বেসরকারি স্কুলের তুলনায় সরকারি স্কুলে দ্বিগুণের বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন নিয়ে অধিপ্ততরের জারি করা সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।


ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে কোনো ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সেজন্য যেতে হবে https://gsa.teletalk.com.bd/gov/student এই ঠিকানায়। এখান থেকে সরকারি বা বেসরকারি অপশনে ক্লিক করে আবেদন ফরমে যেতে হবে। এ পর্যায়ে যেসব তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো দেওয়ার পর ছবি দিতে হবে।

ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা, যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।

এদিকে ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তিনটি ফিডার শাখাসহ) তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণায়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুই শিফট পছন্দ করলে পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।

ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর স্কুল ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সারাদেশে সরকারি স্কুলে ভর্তিতে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত চার লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৪টি আবেদন এসেছে। আর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩টি আবেদন জমা হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে এ আবেদন কার্যক্রম চলবে।

একাধিক অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, স্কুল ভর্তির আবেদন ফরমে সব প্রশ্ন বাংলায় লেখা থাকলেও তা ইংরেজিতে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। এতে করে বাধ্য হয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়তি টাকা ব্যয় করে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আবেদন করতে হচ্ছে। সব উত্তর বাংলায় লেখার সুযোগ থাকলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে নিজেরাই আবেদন ফরম পূরণ করতে পারতো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও মাউশির উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন বলেন, স্কুল ভর্তির আবেদন ও লটারি সংক্রান্ত বিষয়টি টেলিটক মোবাইল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। তবে আবেদন করার সুবিধার্থে প্রশ্নমালা বাংলায় করা হয়েছে। যাতে সেটি বুঝে লিখতে পারে। ভর্তি কার্যক্রম একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় সেখানে ইংরেজিতে তথ্য দিতে হচ্ছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে


সূত্র : জাগোনিউজ