সুনামগঞ্জের ছাতকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় যোগ দেয়ার জন্য চেলা এবং ইছামতি রুটে ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে দুই হাজার বারকি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন এবং একদিনে সরকার প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন চুনাপাথর আমদানিকারক এবং বারকি শ্রমিকরা।

বৃটিশ আমল থেকে বৈধ পথে চুনাপাথর আমদানি করে আসছেন ছাতকের ব্যবসায়ীরা। চুনাপাথর আমদানির সূত্র ধরেই এখানে গড়ে উঠেছে একাধিক কারখানা। আমদানিকৃত চুনাপাথর ছাতক থেকে নৌপথ ও সড়ক পথে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পাঠানো হয়ে থাকে। এতোদিন চালু থাকলেও বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) পরিকল্পনামন্ত্রীর সভায় বারকি শ্রমিকদের যোগ অংশগ্রহণ করানোর জন্য আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাতক লাইমস্টোন ইম্প্রোটস এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সদস্য হাজী বুলবুল আহমদ।


তিনি জানান, শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই মন্ত্রীর প্রোগ্রামের জন্য একটি সিন্ডিকেট আমদানি বন্ধ রেখেছে এতে শ্রমিকদের পাশাপাশি সরকারও অনেক টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বারকি শ্রমিক জানান, সকালে কাজে এসে জানতে পেরেছেন ছাতক বাজারে মন্ত্রীর প্রোগ্রাম এজন্য আজকে কাজ বন্ধ সবাইকে প্রোগ্রামে যেতে হবে।

আমদানি বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে ইছামতি এলসি স্টেশনের সুপার মাহিদুর রহমান জানান, আমদানিকারকরা আমদানি বন্ধ রেখেছে এজন্য আজকে এলসি বন্ধ।

এছাড়া মন্ত্রীর প্রোগ্রামে যোগ দেয়ার জন্য ছাতক পৌর শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ রেখে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছাতকস্থ সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইশতিয়াক রহমান তানভীর। তিনি জানান বিদ্যালয়টির প্রাইমারি শাখায় সকাল একটি ক্লাস করিয়েই ছুটি দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত: বৃহস্পতিবার বিকালে ছাতকের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানকে প্রধান অতিথি করে ওই সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভার পক্ষে বিপক্ষে গত দুই দিন ধরে ছাতক পৌর শহরে একাধিক মিছিল ও শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিক এবং সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলয়ের পাল্টা পাল্টি শোডাউনে পুরো শহরজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

 সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিটি-২০