মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর-ভানুগাছ সড়কধারে গঢ়ে উঠেছে অবৈধ বিভিন্ন স্থাপনা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। দখল হচ্ছে সড়ক ও জনপথ মৌলভীবাজার এর ভূমি। সড়কধারে একের পর এক পাকা আধাপাঁকা নানা স্থাপনা গড়ে ভূমি বেদখল হলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকার। ফলে যান চলাচল ক্রসিং, পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের শমশেরনগর বাজার ভানুগাছ রোডের দু’পাশে পাকা, আধা পাকা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নানা স্থাপনা গড়ে উঠছে। সড়কের ধারে গড়ে উঠা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সিএনজি-অটোরিক্সা ও ট্রাক-পিকআপ স্ট্যান্ড ও পাকা দেয়ালের অফিস স্থাপন করা হয়েছে। নতুনভাবে আবারও পাকা দেয়ালের স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। এর পাশেরই রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে সিএনজি-অটোরিক্সা, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান।


এ সড়কে সুজা মেমোরিয়াল কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ, হাজী মো. উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন স্কুল, গাজি সালাহ উদ্দীন একাডেমী ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করেন। স্থানীয় সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পারাপারে যানবাহন ক্রসিং করা রীতিমতো সম্ভব হয় না। ফলে বাজারে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে।

স্কুল-কলেজ ছুটি হলে শিক্ষার্থীদের এখানে এসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সম্পূর্ণ অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে সড়কের ধঘারে গড়ে উঠা চায়ের দোকান, রিক্সা মেকানিক, স্টেশনারী দোকান, যানবাহন সমুহের অফিস ও স্ট্যান্ড রয়েছে। এছাড়া আলীনগর, উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ভূমি দখলে নিয়ে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি জমি দখলের প্রতিযোগিতায় নানা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অপচেষ্টা চলছে।

স্কুল শিক্ষার্থী পারভীন সুলতানা, মাহবুবা আক্তার, শাপলা আক্তার, কলেজের শিক্ষার্থী মামুন আহমেদ, সিনথিয়া, সুমা অলমিক বলেন, শমশেরনগর চৌমুহনা থেকে ভানুগাছ সড়কের শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশ যানবাহন ও দোকান পাটের কারনে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দোকান পাট গড়ে উঠায় সড়কের পাশে স্থান না থাকার কারনে অনেক সময় দু’পাশ থেকে গাড়ি আসলে ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। স্থানটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

কলেজ শিক্ষক জমশেদ আলী, স্কুল শিক্ষক বিপ্লব ভূষন দাস বলেন, সড়কের দু’পাশে প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন থাকায় শিক্ষার্থী পথচারীদের যাতায়াতের এই স্থানটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে গাড়ি আসলে দু’পাশে দাঁড়ানোর মতো জায়গাও নেই।

তারা আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেবকে এসব বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগে কয়েক দফা বলা হয়েছে। পূর্বে চিটিও দেয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ পদক্ষেপ নেয়ার কথা।

সড়ক বিভাগ মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সড়কে অবৈধ দখল বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, জেলার বিভিন্ন সড়কে এভাবে স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। তবে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া গেলেই উচ্ছেদ করা হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জেএ/এসডি-০৭