মৌলভীবাজারের রাজনগরে কামারচাক ইউনিয়নে বারবার নৌকার প্রার্থী বদলের হুলুস্থুলের মাঝেই রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত কর্মী সভা করেছে।

সভায় উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থীরা উপস্থিত থাকলেও কামারচাক ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী মো. আতাউর রহমান ছিলেন না।


বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখতের সভাপতিত্বে আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ এমপি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান।
মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরজান আহমদের সঞ্চালনায় আয়োজিত বর্ধিত সভায় ছিলেন- আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ফতেহপুর ইউনিয়নের বখতিয়ার আহমদ আসুক, উত্তরভাগ ইউনিয়নের মো. সোহেল আলম, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের মো. ছালেক মিয়া, পাঁচাগাঁও ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম সানা, রাজনগর ইউনিয়নের রেজাউল করিম সোহেল, টেংরা ইউনিয়নের মোহাম্মদ মাহমুদ উদ্দীন, মনসুরনগর ইউনিয়নের মিলন বখত।

এছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে কামারচাক ইউনিয়নের নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি জেলা যুবলীগের সগসভাপতি নজমুল হক সেলিমের মনোনয়ন পরিবর্তন করে ওই ইউনিয়নে শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের উপজেলা আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমানকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এ ইউনিয়নে কয়েকবার প্রার্থী বদল করায় আওয়ামীলীগ বলয়ে মিশ্র প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয়। জেলা জুড়ে চলে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

এদিকে কামারচাক ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সহসভাপতি নজমুল হক সেলিম ও মো. আতাউর রহমান নৌকা প্রতীক চেয়ে মনোনয় দাখিল করেছিলেন। যাচাই বাছাইয়ের দিন মো. আতাউর রহমান নৌকা প্রতীকের ব্যাপারে দলীয় সভাপতির চিঠি দাখিল করায় নজমুল হক সেলিমের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। পরে তিনি আপিল করেছেন।

সভায় উপস্থিত হওয়া নিয়ে মো. আতাউর রহমান বলেন, আমি সভায় থাকার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত মহোদয়ের কাছে ফোন করেছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, কামারচাক ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধ রয়েছে। ৬ ডিসেম্বর পরে তারা আমার বিষয়ে বলতে পারবেন। জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দেও কাছ থেকে কোন নির্দেশনা পাননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত বলেন, কামারচাক ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী নিয়ে চুড়ান্ত সিন্ধান্ত হয়নি। এক পক্ষ আপিল করেছেন। উভয় পক্ষই আসতে চেয়েছিলেন। আমরা বলেছি চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে যে প্রার্থী হবেন তাকে নিয়ে সভা করা হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এআরএস/এসডি-১২