নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের তেরাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত এক সদস্যপ্রার্থী। পুনরায় ওই কেন্দ্রের ভোট গণনার দাবিতে ওই ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন গত বুধবার (০১ ডিসেম্বর) উপজেলা রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

লিখিত আবেদন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে দেলওয়ার হোসেন, টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে কাওছার হামিদ, ফুটবল প্রতীক নিয়ে আফসার উদ্দিন ফয়ছল ও মোরগ প্রতীক নিয়ে নাজিম উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করেন। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুজানগর ইউনিয়নের তেরাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ওই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১ হাজার ৫৬৪ জন। নির্বাচনে ওই কেন্দ্রের প্রার্থীদের এজেন্টদের হিসেবমতে, এখানে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭৯। বাতিল হয়েছে ৪১ ভোট। এরমধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে দেলওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯৭ ভোট। ফুটবল প্রতীকে আফসার উদ্দিন ফয়ছল পেয়েছেন ২৬২। টিউবওয়েল প্রতীকে কাওছার হামিদ পেয়েছেন ২২৪ ভোট। মোরগ প্রতীকে নাজিম উদ্দিন পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। কিন্তু ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিং কর্মকর্তা ভোট গণনায় অনিয়ম করে ২০০ ভোট বেশি দেখিয়ে অর্থাৎ ওই কেন্দ্রে টিউবওয়েল প্রতীকে কাওছার হামিদ ৪২৪ ভোট পেয়েছেন দেখিয়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এসময় দেলওয়ার হোসেনের এজেন্টের পাশাপাশি অন্য প্রার্থীর এজেন্টরা পুনরায় ভোট গণনার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিং কর্মকর্তা ভোট গণনা না করেই চলে যান।


অভিযোগকারী সদস্য প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন বৃহ¯পতিবার বিকেলে বলেন, ভোট গণনার সময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিং কর্মকর্তা আমার প্রতিদ্বন্দ্বি টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী কাওছার হামিদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ভোট গণনায় অনিয়ম করেন। কেন্দ্রের সব প্রার্থীর এজেন্টরা বলেছেন, তাদের হিসেব মতে টিউবওয়েল প্রতীকে কাওছার হামিদ পেয়েছেন ২২৪ ভোট। কিন্তু প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিং কর্মকর্তা গণনার সময় ২০০ ভোট বেশি দেখিয়ে অর্থাৎ ৪২৪ ভোট টিউবওয়েল প্রতীকে কাওছার হামিদ পেয়েছেন বলে দেখানো হয়। এসময় আমার এজেন্টের পাশাপাশি অন্য প্রার্থীর এজেন্টরা পুনরায় ভোট গণনার অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিং কর্মকর্তা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কাওছার হামিদকে বিজয়ী ঘোষণা করে চলে যান। তাই ভোট পুনরায় গণনার জন্য আমি রিটার্নিং কমকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি। প্রয়োজনে আমি আদালতের দারস্থ হবো। পুনরায় ভোট গণনা হলে আমি নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হবো।

এব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বৃহ¯পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, পরাজিত ওই সদস্য প্রার্থী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারেন। অনুমতি পেলে পুনরায় ভোট গণনা করা হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/লাভলু