বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর টালমাটাল বাংলাদেশ ক্রিকেট। বিশ্বমঞ্চে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে মিশন শুরু। এরপর ওমান আর পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে কোনরকম প্রথম পর্ব পার করে সুপার টুয়েলভের টিকিট পায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। সুপার টুয়েলভে খুলতে পারেনি জয়ের খাতা। টানা ৫ ম্যাচে হেরে রীতিমত বিধ্বস্ত টাইগাররা। বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দল ঘরে ফিরেই মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানের। খেলে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে দুটি টেস্ট ম্যাচ।

পারফরম্যান্স বিচারে এমন ক্রান্তিকালে অনেকেই নাকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি এখন না খেলতে। শনিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি এ কথা নিজেই জানান বিসিবি সভাপতি।


পাপন বললেন, ‘আমাকে যে কতজন, কত মানুষ অনুরোধ করেছে যে এই সিরিজটা কোনোভাবে বাদ দেওয়া যায়না? এখন পাকিস্তানের সাথে খেললে তো শেষ হয়ে যাব। একেবারে জঘন্য অবস্থা হবে। এটা বাদ দেওয়া যায় না? বিশ্বাস করুন, এটা হলো বাস্তবতা। মানুষজন ধরেই নিয়েছে আমরা ওদের সাথে দাঁড়াতেই পারবো না।’

বাংলাদেশ দলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে পাপন বলেন, ‘আমি গত ৮ বছরে বাংলাদেশ দলের যতগুলো খেলা দেখেছি, এত বাজে খেলা দেখিনি। হারা-জেতা ব্যাপার না, ক্রিকেটে একটা দল হারবে, একটা দল জিতবে। কিন্তু এমন বাজে পারফরম্যান্স আমি দেখিনি। নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা তো আছে। সমস্যাটা তো জানতে হবে। তা না হলে সমাধান দিব কীভাবে?’

এদিকে বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার আর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার তাদের বিপক্ষে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ দল। এতে বাহবা যেমন পেয়েছে বিসিবি, সমালোচনা শুনতে হয়েছে মন্থর উইকেটের জন্য। তবে এসব বিষয় আমলে নিরে চায় না বোর্ড। পাপন জানালেন ঐ দুই সিরিজে ১০ ম্যাচে ৭ জয়ের ফলে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে টাইগারদের। এতে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পাওয়া গেছে।

পাপনের ব্যাখ্যা, ‘অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ হারলেও কি লাভ হতো। এই যে পিচ নিয়ে এতো সমালোচনা, আমরা পিচ এজন্যই করেছি যে এই দুটা সিরিজ জেতার জন্যই আমরা এখন সরাসরি বিশ্বকাপ খেলব। আমরা এটা করেছিই সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার জন্য। আমাদের আর কোয়ালিফাইং করতে হবে না।’

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘এটা যদি আগে থেকে কেউ জানে যে দুটা সিরিজ জিতলে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা যাবে তো কোন দেশ আছে যে এই সুযোগটা নেবে না? সবচেয়ে দু:খ লাগে যারা জানে না তারা বললে এক কথা কিন্তু যারা জেনে শুনে বলে সেটা অনেক দুঃখ লাগে। অনেকে বলে আইসিসি পিচ, আইসিসির কোন পিচটা পেস ও বাউন্সি ছিল? আমি কেন এমন পিচে খেলাবো যেখানে গিয়ে ক্রিকেটাররা খেলতেই পারবে না?’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-১১


সূত্র : ঢাকা পোস্ট