নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার প্রার্থী এনাম উদ্দিনের সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মী কামরান আহমদের (২১) ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরতর আহত করেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার দুইদিন পেরিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আহত কামরানের স্বজনরা। তবে পুলিশ বলছে, তারা আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।

গত শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) রাতে আহত কামরানের বড় ভাই দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাওছার আহমদ বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখ ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বড়লেখা থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন, রাসেল আহমদ, এপলু আহমদ, মুহিবুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, জাবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ, শিপলু আহমদ, জুনেদ আহমদ, কুতুব উদ্দিন, আব্দুর রউফ ও আবেদ আহমদ। তাদের সবার বাড়ি দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামে। আহত কামরান দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।


মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামরান আহমদ সদ্য সমাপ্ত তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর এনাম উদ্দিনের সমর্থক। বিবাদিরী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও বিএনপি সমর্থিত-স্বতন্ত্র প্রার্থী ময়নুল হকের সমর্থক। বিবাদীরা নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার জেরসহ বিভিন্ন কারণে কামরানকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকিÑধমকি দিয়ে আসছিল। গত ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী এনাম উদ্দিন জয়লাভ করেন। বিবাদীদের প্রার্থীরা পরাজিত হওয়ায় তারা ওইদিন (২৮ নভেম্বর) রাতে রুকনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নৌকার সমর্থক কামরান আহমদকে ঘিরে তার ওপর দা, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এসময় তারা কামরানকে ব্যাপক মারধর করে। এতে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়। পরে বিবাদীরা তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহত কামরানের বড় ভাই দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাওছার আহমদ রোববার বিকেলে বলেন, নৌকার পক্ষে কাজ করায় বিবাদীরা আমার ভাইকে মারধর করেছে। তারা তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। থানায় মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার নৌকার প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এজেএল