অবশেষে নানা জল্পনা-কল্পনার পর মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নজমুল হক সেলিমের আপীল আবেদন না-মঞ্জুর করায় আতাউর রহমান আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন। তবে আপীলে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন টেংরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আকমল হোসেন।

রবিবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের কার্যালয়ে আপীল শুনানী শেষে তার আবেদন মঞ্জুর ও নজমুল হকের আবেদন না-মঞ্জুর করা হয়। এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর কামারচাক ইউনিয়নে দুইজন প্রার্থী নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিলে জেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।


জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত ২৯ নভেম্বর রাজনগরের ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়। এসময় নজমুল হককে পরিবর্তন করে আতাউর রহমানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মর্মে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার পত্রের প্রেক্ষিতে কামারচাকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজমুল হকের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আপীলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হবেন এ নিয়ে সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায় ছিলেন।

এদিকে বাছাইয়ের দিন একজন খেলাপী ঋণ গ্রহীতার জামিনদার থাকায় টেংরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আকমল হোসেনের প্রার্থীতাও বাতিল করা হয়। পরে গত ২ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবরে আপীল করেন এই দুই প্রার্থী। এ প্রেক্ষিতে রবিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আপীল শুনানীতে আকমল হোসেনের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা মঞ্জুর করা হয়।

টেংরা ও কামারচাক ইউনিয়নের রিটানির্ং কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী বলেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি সিদ্ধান্তের কাগজ আমার কাছে এসেছে। এতে টেংরার আকমল হোসেনের আপীল আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। তবে কামারচাকের মো. নজমুল হকের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। সেই হিসাবে কামারচাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমান।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এআরএস/এসডি-৩২