সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ইসহাকপুর গ্রামের দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর ইসহাকপুর গ্রাম পূরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) ইসহাকপুরের বদরুল ইসলামের পক্ষের দিলশাদ মিয়া বাদী হয়ে লন্ডন প্রবাসী উস্তার গণিকে প্রধান আসামি করে ১১২ জনের নামে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ।


এর আগে শুক্রবার উস্তার গণির পক্ষের নুর উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এই পাল্টাপাল্টি মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে ইসহাকপুর গ্রাম এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

এদিকে, রোববার উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম অভিযোগ করেন- ওসমানীতে ভর্তি আমার পক্ষের গুলিবিদ্ধ আহত লোকদের পুলিশ গ্রেফতার করছে। অনেকের অবস্থা গুরতর। ওসির বিরুদ্ধে তিনি নানা অভিযোগ করে বলেন , দীর্ঘ ৩ বছর ধরে তিনি জগন্নাথপুরে নানা অপকর্ম করে চললেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিগত দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় তার দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় আমাকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে ।

এ বিষয়ে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিনের বক্তব্য জানতে তাঁর ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি ।

জগন্নাথপুর সার্কেল এএসপি শুভাশিস ধর বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুইপক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও অন্য আসামী দের গ্রেফতারেরর চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যার পর জগন্নাথপুর উপজেলার ইসহাকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদরুল ইসলাম ও লন্ডন প্রবাসী উস্তার গণির পক্ষের লোকদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় ২৫ জন গুলিবদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এরমধ্যে ২৩জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ ও অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / সানোয়ার / ডি.আর