সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট না পেয়ে এক ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী এক ভোটারকে ‘জুতাপেটা’ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এই হেনস্থার শিকার মো. ইয়াছিন মিয়া (৩৩) নিজেই গতকাল রোববার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেছেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।

মামলায় ইউপি সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী নওশর আলীসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন- ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের কাঞ্চন বৈদ্য (৩০) ও সাকির মিয়া (২৩)।


ইয়াছিন মিয়া অভিযোগ করেছেন, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বোয়ালজুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে পরাজিত হন নওশর আলী। এরপর ১৩ নভেম্বর তাকে (ইয়াছিন) ডেকে নিয়ে পঞ্চায়েতে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। সেখানে তিনিসহ আরও পাঁচজনকে ভোট না দেওয়ার অভিযোগে ‘জুতাপেটা করা হয়’ এবং ‘জুতার মালা গলায় পরানো হয়’। তাকে ১০ বার ও অন্যদের ৫ বার করে নওশর আলী জুতাপেটা করেন।

তার অভিযোগ, নওশর আলী এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নওশরকে ‘ষন্ডা, গুন্ডা’ প্রকৃতির মানুষ বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নওশর আলী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে আমার ভোটের ব্যবধান বেশি নয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এ জন্য আমাকে বেকায়দায় ফেলতে ইয়াছিনকে দিয়ে এমন অভিযোগ করিয়েছেন তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি, ইয়াছিনকে পঞ্চায়েতে ডেকে নিয়ে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে সালিস হয়েছে। সেখানে তাকে কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়নি। কেবল তাকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে অপরাধ না করেন। কিন্তু নির্বাচিত প্রার্থী তজম্মুল আলী সেটির ফায়দা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন।’

অন্যদিকে, নির্বাচিত ইউপি সদস্য তজম্মুল আলী ‘জুতাপেটা’ করার ঘটনা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নওশর আলীর পক্ষ থেকেই এটি করানো হয়েছে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে