আজ মঙ্গলবার দিরাই মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাইকে পাকহানাদার মুক্ত করার স্মরণে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এরআগে ৪ ডিসেম্বর দিরাই উপজেলার শ্যামারচর, পেরুয়া, উজানগাঁও, দৌলতপুরসহ কয়েকটি গ্রামে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পৈশাচিকভাবে ৩৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে পাক বাহিনীর দোসর রাজাকাররা। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল লড়াই ও তীব্র প্রতিরোধের মুখে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদররা দিরাই ছেড়ে পালিয়ে যায় মুক্ত হয় দিরাই।

জানা যায়, ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী। খবরটি জানাজানি হলে দিরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৭ ডিসেম্বর সকালে দিরাইয়ে অবস্থানকারী পাক বাহিনীর উপর চতুরদিক থেকে আক্রমণ শুরু করেন। তীব্র আক্রমণের মুখে লঞ্চযোগে দিরাই থেকে পাক বাহিনী পালিয়ে গেলে মুক্ত হয় দিরাই।


এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে বুস্টার্সের আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবারও দিরাইয়ে সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর সর্ব প্রথম দিরাই মুক্ত দিবস লাপন করে দিরাই উপজেলা খেলাঘর তারপর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি পালন করে আসছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিটি-৬