নির্বাচন শব্দটি উচ্চারণের সাথে সাথেই নির্বাচনী পদপ্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা, উৎসুক জনতা ও ভোটারদের মধ্যে এক উত্তেজনাকর পরিবেশ পরিস্থিতির চিত্র আমাদের চোখে ভেসে উঠে। নির্বাচন মানেই যেখানে উত্তেজনা বিরাজ করে আজ সেই ‘উত্তেজনাকে’ কারণ দেখিয়ে স্থগিত হলো নির্বাচন!

সম্প্রতি সিলেটের গোলাপগঞ্জে পার্শ্ববর্তী আমুড়া ইউনিয়নের সীমানা জটিলতা ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় বুধবারী বাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। শেষ কয়েক বারের অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময়ে কখনোই সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। তুচ্ছ বিষয়কে কারণ দেখিয়ে নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতবাক প্রায় সকলেই। দু'একজন ব্যক্তির কথার পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে খুশি করতে গিয়ে যে আজ প্রকাশ্যে পুরো ইউনিয়নবাসীর বিরোধিতা করছেন তাতে বেখেয়ালি হলে কি চলে!


এ কাজ করে দলের নাম করে যে ক্ষমতা দেখালেন তাতে করে আপনাদের গৌরব সম্মান মর্যাদা অনেক বেড়ে গেছে ধরে বসবেন না। এতোটাই যদি ক্ষমতাবান হয়ে থাকেন তবে, ১৩ বৎসর যাবৎ আওয়ামী লীগের হয়ে এ ইউনিয়নের সেবাকালে কেনো এখনো ফেরীঘাটে কয়েকবার মাপঝোঁক নেওয়া স্বত্তেও ব্রিজ নির্মাণ হলো না! কেনো এখনো বুধবারি ইউনিয়নে গ্যাস পৌঁছায়নি? এতোই যখন ক্ষমতা তখন কেনো সঠিক ক্ষেত্রে তা ব্যবহৃত হলো না!

আপনার দ্বারা যখন উন্নয়ন হচ্ছিলই না, তখন একই দলের সমর্থনকারী ব্যক্তিকে ইউনিয়নবাসীর সেবাকার্যে নিয়োগ করতে সবাই যখন বদ্ধপরিকর তখনও আপনি বেঁকে বসলেন, যাকে বোঝায় দলীয় কোন্দলের আহ্বান। নিজ দলের পদপ্রার্থীদের সঙ্গে এরূপ কাজ যা বিপক্ষ দলের নিকট হাসির পাত্র হবার সুযোগ দেয়া। এরূপ ক্ষমতালোভি প্রার্থী জনগণ চায় না, চাইবেও না। বাকিটা আপনাদের বিবেক!!

প্রিয় ভাই, প্রিয় নেতা- বলে আজ যারা আপনাদের এসব কাজের সাহস জোগায় প্রকৃতপক্ষে তারাই একদিন আপনাদের কাল হয়ে দাড়াবে! কেননা, এ পরিস্থিতিতে এসব কাজের সাক্ষী হওয়া সমর্থনকারী জনগণ ক্রমেই হ্রাস পাবে। জনগণ পাশে না থাকার কারণেই একদিন ক্ষমতার পরিসর গুটিয়ে যাবে। তাই সব মিলিয়ে বলা যায় নিজের ভবিষ্যতের কথা না ভেবে অন্যের নয় বরং নিজের ক্ষতিই নিজে ডেকে এনেছেন। অন্যের ক্ষতি করে কেউ কখনোই বড় হতে পারেনি। প্রতিহিংসা এক ঘৃন্যতর অপরাধ!

লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী