চরম নাটকীয়তা আর বারবার প্রার্থী বদলের অবসান ঘটিয়ে আরেক চমক দিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতাউর রহমান।

কামারচাক ইউনিয়নে তার প্রতিদ্বন্দ্বি কোন প্রার্থী না থাকায় তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন ওই ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী খান।


সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের ঙ-নং ফরমের মাধ্যমে আতাউর রহমানকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের নির্বাচনের জন্য কমিশন ঘোঘিত মনোনয়ন জমাদেয়ার শেষ তারিখ ছিল গত ২৫ নভেম্বর। ওই তারিখে কামারচাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দাবি করে দুইজনসহ মোট ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। ২৯ নভেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে আতাউর রহমানকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রেখে বর্তমান চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিমের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে নজমুল হক সেলিম আপিল করেন। গত ৫ই ডিসেম্বর আপীলের শুনানী শেষে মো. নজমুল হক সেলিমের আবেদন না-মঞ্জুর করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। ফলে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমানসহ মোট ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বৈধ ছিলেন। ৬ই ডিসেম্বর সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনে অপর ৩ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তারা হলেন বর্তমান মেম্বার জিয়াউর রহমান জিয়া, মান্না ছালামত, মো. ইনছান মিয়া। এতে ওই ইউনিয়নে আতাউর রহমান ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এই ইউনিয়নে নির্বাচিত হন আতাউর রহমান।

এদিকে মনোনয় প্রত্যাহারকারী প্রার্থীদের মাঝে বর্তমান মেম্বার জিয়াউর রহমান জিয়া ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী মো. আতাউর রহমানের আপন বড় ভাই। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন প্রত্যাহারকারী সবাই আতাউর রহমানের ডামি ছিলেন। নজমুল হক সেলিমকে ঠেকাতে গিয়েই তাদের প্রার্থী করা হয়েছিল। নজমুল হক সেলিমের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় অন্যরাও প্রত্যাহার করেছেন।

রাজনগর উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা ও কামারচাক এবং টেংরা ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী খান বলেন, কামারচাকে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। একজেনর প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। প্রত্যাহারের শেষ দিনে অন্যরা প্রত্যাহার করায় আতাউর রহমান একক প্রার্থী। ফলে নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী ঙ-ফরমের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে মো. আতাউর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এআরএস/এসডি-১৭