তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়ক ইমন ও নায়িকা মাহিয়া মাহির কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, মাহিকে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলছেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ। নায়িকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন তিনি।

আর এরপরই ডা. মুরাদ হাসানকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরেই নিজ দফতরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ডা. মুরাদ।


প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে সৌদি আরব থেকে লাইভে এসে নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তিনি স্বামীর সঙ্গে সম্প্রতি ওমরাহ হজ করতে গিয়েছেন। সেখান থেকে এবার তিনি স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চান বলে জানিয়েছেন।

তিনি মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ফেসবুকে লিখেছেন, ‘উমরাহ থেকে ফিরেই আমার প্রথম এবং একমাত্র চাওয়া আমি আমাদের সবার অভিভাবক, আমাদের মমতাময়ী মা (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)’র সাথে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখা করতে চাই। অনেক কিছু বলার আছে। এই মনোবাসনা নিয়েই আমি মক্কা ত্যাগ করবো। আমার বিশ্বাস এই চাওয়া ব্যর্থ হবে না’।

এর আগে গতকাল তিনি লাইভে এসে মুরাদের কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও ভাষা নিয়ে মাহি বলেন, ‘বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রতিত্তোরের ভাষা আমার জানা ছিল না, নম্রতা আমার পারিবারিক শিক্ষা…।’

ভিডিওতে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি এখন পবিত্র হারাম শরিফে আছি। ওমরাহ পালন করছি। আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করছি। আমি সেদিনও বলেছিলাম। বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রতি-উত্তরের ভাষা আমার জানা ছিল না। এটা দুই বছর আগের ঘটনা। তখন আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছিলাম।’

মাহি আরও বলেন, ‘আমি আরও একবার দেশবাসীর কাছে ছোট হলাম। কিন্তু আপনারা নিজের থেকে একটু চিন্তা করে দেখবেন, এই ভাষার প্রতিত্তোর কী দেওয়া উচিত ছিল? সেদিন আমার আসলে কিছু বলার ভাষা ছিল না। তাই সেদিন কিছু বলিনি। আমি সেদিন চুপ থেকেছি পাশ কাটিয়ে।’

তিনি বলেন, ‘এটা (প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন) ঠিক দুই বছর আগের ঘটনা। আমি বরাবরের মতোই সব সময় আল্লাহর কাছে বলি যে, আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি। কোনো না কোনোভাবে তিনি তার রেজাল্ট (ফল) পেয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।’

মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি সাংবাদিক ভাইদের বলছি, দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার জায়গা থেকে আপনারা বিষয়টি চিন্তা করেন। আমি আসলে এখন কারও ফোন রিসিভ করছি না। আমি যেখানে আছি, এখানে আসলে এ বিষয়ে কথা বলার মতো না। সবাইকে ধন্যবাদ।’

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-২০


সূত্র : জাগোনিউজ