পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সালাবাদের একটি মার্কেটে চার নারীকে বেধড়ক মারপিটের পর বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ঘিরে দেশটিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।

সোমবার ফয়সালাবাদের বাওয়া চক মার্কেটে ওই চার নারীকে মারপিট, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে একদল দুর্বৃত্ত। মঙ্গলবার ফয়সালাবাদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার নগর পুলিশ কর্মকর্তা (সিপিও) ডা. মোহাম্মদ আবিদ খান। তিনি বলেছেন, অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।


এর আগে, সোমবার নির্যাতনের শিকার একজন নারী ফয়সালাবাদের মিল্লাত পুলিশ স্টেশনে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেন। এফআইআরে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অন্য তিন নারীর সঙ্গে বাওয়া চক মার্কেটে আবর্জনা সংগ্রহ করতে যান।

পুলিশকে ওই পরিচ্ছনতাকর্মী বলেছেন, তারা তৃষ্ণার্ত ছিলেন এবং মার্কেটের একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকানে যান। সেখানে দোকানের এক কর্মীর কাছে এক বোতল পানি চান তারা। এ সময় দোকানের মালিক চিৎকার শুরু করেন। ওই নারীরা চুরির উদ্দেশ্যে দোকানে প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। চিৎকার শুনে পরে অন্যান্য দোকানিরাও সেখানে পৌঁছান।

ওই চার নারীকে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন দোকানিরা। এক পর্যায়ে তাদের বিবস্ত্র করে মার্কেটের মধ্য দিয়ে টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে যান তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাদের মারধর এবং নগ্ন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে অভিযুক্তরা। পরে সেখানে ওই চার নারীর স্বজন ও পথচারীরা এগিয়ে এসে তাদের মুক্ত করেন।

পাঞ্জাব পুলিশের এক টুইট বার্তায় সোমবার রাতেই সন্দেহভাজন দুই দোকানিকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে অপর তিন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/জিএসি-১৫


সূত্র : ঢাকা পোস্ট