হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে ২টি মোবাইল ফোন নাম্বার থেকে ৫ মিষ্টি ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে একটি প্রতারক চক্র। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জরিমানার হুমকি দিয়ে এ টাকা দাবি করা হয়।

জানা গেছে, জেল ও মোটা অংকের জরিমানা থেকে বাঁচতে হলে ৫ মিষ্টি ব্যবসায়ীকে টাকা দিতে বলেছে একটি প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রটি ৫টি মিষ্টির দোকান মালিকের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে বুধবার দুপুরের দিকে তাদের কাছে কল করে।


গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী রাজন রায় বলেন, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে তার মোবাইল ফোন ০১৯৩১৪৩৫৬০৮ নাম্বার থেকে ফোন আসে। এসময় অপর প্রান্তের প্রতারক নিজেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলে- র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল ও মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা হবে। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে।

এভাবে বণিক মিষ্টান ভান্ডার, আদি গোপাল, জয় দুর্গা মিষ্টান ভান্ডারসহ বিভিন্ন দোকানের মালিককে কল করে প্রতারক চক্র। বার বার টাকার জন্য ফোন দিতে থাকলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। পরে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন-এর কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানান।

মিষ্টি ব্যবসায়ী বণিক মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সুজন বণিক জানান, এ ধরনের চাঁদার দাবিতে ফোন পেয়ে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপার তার ইউএনও মাধবপুর ভ্যারিফাই ফেসবুক পেইজে একটি ষ্ট্যাটাস দিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপার মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মৌখিকভাবে বিষয়টি জেনেছি। প্রতারকদের পরিচয় শনাক্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / সানাউল / ডি.আর