প্রায় ছয় বছর আগে ইউটিউব চ্যানেল জি-সিরিজ মিউজিকে প্রকাশ পায় গায়ক কিশোর পলাশের গাওয়া জনপ্রিয় গান ‘ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল’-এর ভিডিও। এতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বাউল বেশধারী এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়। র‌্যাব বলছে, বাউল বেশধারী ওই ব্যক্তি আসলে দুর্ধর্ষ এক খুনি। যে অন্তত তিনটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সেই মিউজিক ভিডিওর গানের শিল্পী কিশোর পলাশ। তিনি বলেন, ‘গানটির ভিডিও করার জন্য আমরা ঢাকার পাশে লোকেশন বেছে নিই। ভিডিওটির নির্মাতা নোমান রবিন ভাই। মূলত আমাদের কোনো মডেল ছিল না। আমরা রাস্তার পাশে যাকে পাই তাকেই আমাদের গল্পের সঙ্গে মিলে গেলে তাকে মডেল হওয়ার অফার করি। দেখবেন, আমাদের গানে একজন মুচি, রাস্তার মানুষ ও ওই বাউলশিল্পী, মানে যে সিরিয়াল কিলার, আছে। আসলে উনি যে সিরিয়াল কিলার, এত খারাপ একজন মানুষ তা আমাদের পক্ষে কোনোভাবেই বোঝা সম্ভব ছিল না।’


কিশোর পলাশ বলেন, ‘আমরা ওইদিন নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের আশেপাশে শুটিং করছিলাম। হঠাৎ বাউল সেলিমকে দেখতে পাই রেললাইন দিয়ে কোথায় যেন হেঁটে যাচ্ছে। মনে হলো লোকটাকে ভিডিওতে সামান্য সময়ের জন্য ধরতে পারলে ভালো হতো। যেহেতু এটি ফোক, কিছুটা আধ্যাত্মিক ধরনের গান। তাকে বললাম, সে এক কথায় রাজি হয়ে গেল। আমরা শুটিং করলাম। এই শুটিংয়ের ঘটনা ৬ বছর আগের। আর এই মুহূর্তে জানলাম লোকটা সিরিয়াল কিলার। আমার এমন একটা জনপ্রিয় গানের মডেল খুনি, ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। ঘটনাটি শোনার পর থেকে খুব খারাপ লাগছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা অবশ্য একদিক থেকে ভালো কাজই হয়েছে। একটি গানের-ভিডিওর সূত্র ধরে এত বড় একজন অপরাধী ধরা পড়ল।’

উল্লেখ্য, বগুড়া শহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎ নামে একজনসহ বিভিন্ন সময়ে তিন জনকে হত্যা করে হেলাল হোসেন ওরফে সেলিম ফকির ওরফে বাউল সেলিম ওরফে খুনি হেলাল (৪৫)। বিদ্যুৎ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। নিজেকে আড়াল করতে গত ২০ বছর ধরে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল হেলাল। অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়ল সে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম /ডেস্ক/জিএসি-০২


সূত্র : ঢাকা পোস্ট