সারাদেশের মতো সিলেটেও গত কয়েকমাস ধরে কমছে মহামারি করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফলে সিলেটে করোনা চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ শয্যার বেশিরভাগই ফাঁকা কয়েকমাস ধরে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা ইউনিট রেখেই বন্ধ করে দেয়া বাকি ইউনিটগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে এই হাসপাতালের ইনডোরে করোনার বাইরে অন্য রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হবে।

জানা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিলে সিলেটে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থেকেই শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রায় দুইবছর ধরে শুধু করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীদের চাপ বেশি থাকায় বাধ্য হয়ে ধারণক্ষমতার বেশি রোগীদেরও চিকিৎসা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সম্প্রতি সিলেটে করোনা আক্রান্ত রোগী কমে যাওয়াতে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে প্রায় ৮০ ভাগ শয্যাই ফাঁকা থাকছে। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনার বাইরে অন্য রোগে আক্রান্তদের ইনডোর সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।


হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ১ জানুয়ারি থেকে বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৮০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন। হাসপাতালে ১০০ শয্যা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যার মধ্যে ৫ জনই আছেন আইসিইতে। ফলে হাসপাতালে রয়েছে ৯২টি শয্যা খালি রয়েছে।

শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) মো. মিজানুর রহমান সিলেটভিউ-কে বলেন, সিলেটে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন কমছে। তাই আমরা ইনডোরে রোগীদের চিকিৎসা শুরুর পরিকল্পনা করেছি। করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ইনডোরে সবাই চিকিৎসা পাবেন। তবে শুধু করোনা চিকিৎসার জন্য ৪৫ শয্যা রাখা হবে। বাকী ৫৫ শয্যায় অন্য সকল রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তখন শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল আর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল থাকবে না বলে জানান তিনি।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাবিল/এসডি-০৪