মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সামীন্তবতী চাম্পারার গহীন অরন্য এলাকা ত্রিপুরা পল্লী তৈলংছড়া গ্রামে ধর্মীয় উপাসনালয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে ১০দিন ব্যাপী ত্রিপুরী ভাষা শিক্ষার মৌলিক কোর্স সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ত্রিপুরা পল্লীর গীজায় ত্রিপুরী ভাষা মৌলিক কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি হয়।


ওই ত্রিপুরা পল্লীতে ২৪টি পরিবারের বসবাস। এসব পরিবারের বেড়ে উঠা সন্তানদের জন্য নিজস্ব ভাষার কোন পাঠদানের ব্যবস্থা নেই। গ্রাম প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে পাঁয়ে হেটে স্থানীয় কলাবন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেলেও নিজস্ব ভাষা পাঠদান না থাকায় শিখতে পারেননি ওই শিশুরা। বিলুপ্তির পথে সেই ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে কমলগঞ্জ মনিপুরী ললিতকলা একাডেমী।

জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মনিপুরী ললিতকলা একাডেমীর পরিচালক আশেকুল হকের নিদের্শনায় কবি ও গবেষক আহমদ সিরাজের সহযোগীতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে বার্ষিক প্রশিক্ষনের অংশ হিসেবে ক্ষুদ্রনৃ-গোষ্টির ত্রিপুরী ককবরক ভাষা ও বর্ণলিপি ওপর ১০দিন ব্যাপী আয়োজন করে লতিতকলা একাডেমী।

তৈলংছড়া ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান করুণা দেববর্মার সভাপতিত্বে ও নির্মল সিংহ পলাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ললিতকলা একাডেমীর পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য অঞ্জনা সিনহা, ললিতাকলা গবেষণা কর্মকর্তা প্রবাস চন্দ্র সিংহ, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, মৌলভীবাজারের বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের মো.সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক সাদিকুর রহমান সামু ও রুহুল ইসলাম হৃদয়,মোনায়েম আহমদএবং ত্রিপুরী ভাষা কোর্সের শিক্ষিকা নয়ন বালা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, যে জাতির ভাষা ও সংস্কৃতি টিকিয়ে থাকবে সে জাতির অস্তিত্ব হারাবে না। মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।

পরে ত্রিপুরী ভাষায় গান পরিবেশন ও আয়োজকরা দেশাত্মবোধক গান শিখান। সমাপনী দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেয়া হয়।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এসআই/এসডি-২৯