সিলেটের ওসমানীনগের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সংর্ঘষের পর আহত সৈয়দ তানভীর আলীকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর অবস্থা অবনতি থাকায় পরবর্তীতে সিলেট প্রাইভেট হাসপাতাল নিয়ে গেলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে তাঁর স্বজনরা জানিয়েছেন।


এ ঘটনায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পাল্টা-পাল্টি মামলা রুজু করা হলেও অভিযুক্ত কাউকেও এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ তবে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনাচার্জ এসএম মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, গত শনিবার উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের জহিরপুর এলাকায় সৈয়দ হুমায়ুন আলী ও সৈয়দ আনছার আলীসহ তাদের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে আহত তানভীরসহ অনান্যদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে।

জহিরপুর গ্রামের সৈয়দ হুমায়ুন আলী বলেন, মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র সৈয়দ আনছার আলীর সাথে আমাদের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের নানাভাবে হয়রানীসহ আমাদের জায়গা আত্মসাৎতের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন আনছার আলীসহ তার লোকজন। গত শনিবার আমাদের নিজস্ব মালিকাধিন জায়গায় চাষাবাদ করতে গেয়ে আনছার আলীর নেতৃত্বে তার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমিসহ আমার ভাই তানভির ছাড়া আমার লোকজনকে চায়নিছ দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। আহতদের মধ্যে সৈয়দ তানভির আলী, হেলাল মিয়া ও কমলা বিবির অবস্থা এখনও আশংঙ্কজক রয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে জহিরপুর গ্রামের সৈয়দ আনছার আলী সৈয়দ আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ টিটু মিয়া, সৈয়দ সাজ্জাদ মিয়া, সৈয়দ দিলদার মিয়া, সৈয়দ কওছর মিয়া ও সমছু মিয়ার নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নিজের জায়গায় চাষাবাদ করতে গিয়ে এমন নেক্কারজনক সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমনের ঘটনার সাথে জড়িত প্রভাবশালী আনছার আলীসহ তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।

তবে অভিযোগগুলী অস্বীকার করে সৈয়দ আনছার আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার জায়গা দখলের চেষ্ঠায় হামলা-মামলা অব্যাহত রেখেছেন ওয়াকিল আলী ও তার লোকজন। গত শনিবার জোরপূর্বক আমার মালিকাধিন ভুমিতে সৈয়দ ওয়াকিল আলী তার দলবল নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেলে আমি বাধাঁ দেয়ায় তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমার লোকজনকে মারাত্বক ভাবে আহত করে উল্টো আমাদের ওপর মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি।

প্রসঙ্গত: উপজেলার গোয়ালাবার ইউনিয়নের জহির পুর গ্রামের সৈয়দ আনছার আলীর ও সৈয়দ হুমায়ুন আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন চলমান জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শনিবার উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সৈয়দ তানভির আলীর অবস্থা এখনও আশংঙ্কাজনক। সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জানুয়ারী উভয় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরপি/এসডি-২৯